× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে রংপুরের মানুষ

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৫, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চট্টগ্রামে বাসচালক জালাল উদ্দিনকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আজ থেকে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর বিভাগীয় মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। ধর্মঘটের কারণে রংপুর বিভাগের আওতায় চার জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

আজ ধর্মঘটের প্রথম দিনে সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সকল রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা। তবে কোনো প্রকার মাইকিং বা আগাম প্রচারণা না করে এভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল পড়ূয়া ছাত্রছাত্রী ও কর্মজীবী সাধারণ মানুষ। এমন উদাসীনভাবে মোটর পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের কয়েকদিন পরপর যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

ধর্মঘটের কারণে সময়মতো কর্মস্থলে যেতে পারছেন না অনেকেই। এমনি একজন আবদুর রহমান ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, অন্যায় বা ন্যায় যে কোনো প্রকার দাবি আদায় করার জন্য মানুষকে এভাবে জিম্মি করা এক প্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে মোটর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের। কে ধর্মঘট ডাকলো আর কেন ডাকলো কিছু জানে না এরা। শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার বলেন, রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবিতে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২শে এপ্রিল) রাত ৮টায় শ্যামলী পরিবহন সার্ভিসের যাত্রীবাহী একটি বাস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট পার হয়ে শিকলবাহা (ভেল্লাপাড়া) ব্রিজ এলাকায় আসে।
এ সময় ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আনুমানিক ৭ জন বাস থামান। এরপর তারা বাসে উঠে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ড্রাইভারকে হাতকড়া পরিয়ে বাস থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পেটাতে পেটাতে আবারও তাকে বাসের ভেতরে এনে ইয়াবা বের করে দিতে বলে। ড্রাইভার তার কাছে কোনো ইয়াবা নেই জানালে ক্ষুব্ধ ‘ডিবি সদস্যরা পরিচয়ধারীরা’ তাকে আবারও নামিয়ে রাস্তার পাশে অন্ধকারের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ১০-১৫ মিনিট পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বাসের ভেতরে ফেলে তারা দ্রুত চলে যায়। রাত আড়াইটার দিকে ড্রাইভার জালালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর