× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘অবৈধই থাকলো মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প’

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ২৫, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

অবৈধই থাকলো মধুমতি মডেল টাউন। প্রায় সাত বছর আগে দেয়া এক রায়ে সাভারের আমিনবাজারে বিলামালিয়া ও বলিয়ারপুর মৌজার এ প্রকল্পটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল বিভাগে করা মেট্রো মেকার্স ডেভেলপার্স লিমিটেড ও কয়েকজন প্লটমালিকের আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেয়া হয়েছে।  প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন। এর ফলে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পের ভূমি আগের অবস্থায় (জলাশয়) ফিরিয়ে আনার যে নির্দেশ আপিল বিভাগ দিয়েছিলেন, তাও বহাল রইল।

এর আগে ২০১২ সালের ৭ই আগস্ট আপিল বিভাগ ওই প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মেট্রো মেকার্স ও কয়েকজন প্লটমালিক পৃথক পাঁচটি আবেদন (রিভিউ) করেন। এর শুনানি নিয়ে আজ রিভিউ আবেদনগুলো খারিজ করে আদেশ দেয়া হয়।

আদালতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এ এম আমিন উদ্দিন, সাইদ আহমেদ কবির। মেট্রো মেকার্সসহ পুনর্বিবেচনার আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আবদুল মতিন খসরু, কামাল উল আলম প্রমুখ।

রাজউকের অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মেট্রো মেকার্স ডেভেলপার্স লিমিটেড বন্যা প্রবাহিত এলাকায় মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং প্রকল্প গ্রহণ করে।
এই প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বেলা। এতে ভূমি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়, রাজউক ও মেট্রো মেকার্সকে বিবাদী করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। আর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৫ সালের ২৭শে জুলাই হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে প্লটগ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই প্রকল্পে মাটিভরাট বন্ধ করার বিষয়ে রাজউকের মেট্রো মেকার্সকে দেয়া নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে অপর রিট আবেদনটি করে মেট্রো মেকার্স। এই আবেদনও খারিজ হয়।

আদালত সূত্র জানায়, এসব রায়ের অংশবিশেষের বিরুদ্ধে পক্ষগুলো পৃথক চারটি আপিল ও রাজউক একটি আবেদন করে। এর মধ্যে বেলার রিটে ওই প্রকল্প অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স একটি এবং মাটিভরাট বিষয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে অপর আপিলটি করে। আর প্লটগ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণের নির্দেশনার বিরুদ্ধে বেলা আপিল করে। রাজউকও এ বিষয়ে একটি আবেদন করে। আর প্রকল্প অবৈধ ঘোষণার অংশবিশেষের বিরুদ্ধে প্লটগ্রহীতারাও তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি আপিল করেন। এসব আপিল ও আবেদনের ওপর ২০১২ সালের ১৫শে ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। একই বছরের ৭ই আগস্ট আদালত রায় ঘোষণা করেন।


পরে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মেট্রো মেকার্স ও কয়েকজন প্লটমালিক পৃথক পাঁচটি আবেদন (রিভিউ) করেন। এর শুনানি নিয়ে আজ রিভিউ আবেদনগুলো খারিজ করে আদেশ দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর