ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে নুসরাতকে হত্যার প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আজও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সকালে ফেনীর শর্শদী ও মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শিক্ষার্থী এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
ঢাকা-চট্রগ্রম মহাসড়কের ফেনী মোহাম্মদ আলী বাজার এলকায় সানিডেল প্রিপারেটি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা হাতে প্লেকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে মহাসড়কে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। এদিকে একই সময়ে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নে শর্শদী বাজার এলকায় শর্শদী হাইস্কুল, শর্শদী গাল্স হাইস্কুল, আলহাজ্ব জামেয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় শিক্ষার্থী প্লেকার্ড ও ফেস্টুুন নিয়ে খুনি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্যোলাসহ সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
গত ৬ই এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত এজহারভুক্ত আট আসামীসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত ৫ জনসহ ৮আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।