দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং দলের নেত্রীকে কারাগারে রেখে যারা শপথ নিচ্ছে এরা জনগণের থুথু ঢলে ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যম বিরোধী কালো আইন বাতিল, সাংবাদিক হত্যার বিচার, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। তিনি বলেন, আজকে সাংবাদিকরা একটা কথা জানতে চান। জাহিদ হোসেন দাবিদার তিনি পাস করেছেন। ধানের শীষ থেকে পাস করে তিনি আজ শপথ গ্রহণ করেছেন। জনগণের সঙ্গে যিনি থাকতে পারেন না। তিনি কোথায় শপথ নিলেন আর কোথায় নিলেন না এটা বিবেচনার বিষয় না।
৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে ১৬ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। একথা আমার না। আপনাদের সকলের কথা। যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের ৫ শতাংশ লোকও ভোট দিতে পারেনি। জনগণ যেখানে বলছে তারা ভোট দিতে পারেনি। সেই সংসদের ৩০০ আসনে কেউ জয়লাভ করতে পারে না, পারেনাই এবং কেউ পরাজিতও হয়নাই। সুতরাং দলের আদর্শ, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং নেত্রীকে জেলখানায় রেখে কেউ যদি শপথ নিয়ে থাকে বা ভবিষ্যতে নেয় তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে চলার যোগ্যতা রাখেনা। তারা হল গণদুষ্মন। তাদের বিচার জনগণই সময়মতো করবে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দলের সিদ্ধান্ত সংসদে যাব না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদে যায় তিনি দলের লোক হিসেবে গণ্য হবেনা। গয়েশ্বর বলেন, আমরা এই শপথ গ্রহণে ক্লান্ত নয়। ভীত নয়। ৩০০ আসনের কেউ নির্বাচিত না। এই ৩০০ জনও জদি এক জায়গায় এসে চিৎকার করে বলে আমরা নির্বাচিত। তাতে জনগণ যে থুথু মারবে। সেই থুথু ঢলে তারা ভেসে যাবে। সেইদিনই তারা বুঝতে পারবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিণতি কি?
সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।