দিনভর প্রস্তুতি ছিলো বাঘ ধরার। জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই ফাঁদ টপকে ভারতের পাহাড় দিয়ে পালিয়ে গেছে ডোরাকাটা বাঘ। কেউ কেউ এটাকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে জানিয়েছেন। সিলেটের কানাইঘাটে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে বাঘ নেমে আসে। এ কারণে বাঘ সম্পর্কে সচেতন কানাইঘাটের লোভাছড়া চা বাগানের এলাকার মানুষ। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের লোভাছড়া চা বাগান এলাকার বাঘ টিলায় বাঘ রয়েছে এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রথা অনুযায়ী এলাকার বিভিন্ন গ্রামের শ’ শ’ লোকজন বাঘ টিলার চারদিকে ব্যারিকেড দিয়ে বাঘ ধরার জন্য ফাঁদ তৈরি করেন।
দিনভর অপেক্ষার পর বাঘ আসেনি। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যারিকেড দেয়া জাল টপকে বিশাল আকারের বাঘটি কয়েকজনকে জখম করে পার্শ্ববর্তী নুন ছড়া টিলায় চলে যায়। বাঘ ধরা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বিভিন্ন সময় খাবারের সন্ধানে দলছুট হয়ে নানা প্রজাতির বাঘ ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদশের সীমান্তবর্তী বন ও টিলা বেষ্টিত লোভাছড়া চা বাগান এলাকায় চলে আসে। গত সোমবার রাতে একটি বড় ডোরাকাটা বাঘ যা স্থানীয় ভাষায় বড় বাঘা নামে পরিচিত বাঘ টিলায় অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সূত্রা বাবু নামে একজন কৃষকের একটি গরু খেয়ে ফেলে। এলাকার গবাদি পশু বাঘের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এরপর থেকে বাঘটিকে জীবিত ধরার জন্য বুধবার সকাল থেকে প্রস্তুত নিয়ে আমরা বাঘ টিলায় নয় মৌজার লোকজন একত্রিত হয়ে ফাঁদ পেতে রাখি। কিন্তু বাঘটি জালের ফাঁদ টপকে পাশের নুন ছড়া টিলায় চলে যায়। তিনি বলেন, বাঘ ফাঁদ মানে বাঘকে প্রাণে হত্যা নয়। আমরা বাঘকে জীবিত ধরে বন বিভাগে হস্তান্তর করি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- বাঘ আটকের সংবাদ পাওয়ার পর তিনি তাৎক্ষণিক সেখানে উপজেলা বিট অফিসের কর্মকর্তাদের পাঠান।