মানুষের দিল্ অন্ধকারে ঢেকে গেছে। আর এ অন্ধকার তার হৃদয় থেকে মুছে দিয়েছে প্রেম ভালোবাসাকে। করে তুলেছে হিংসাত্মক। আক্রমণাত্মক। ধীরে ধীরে মানুষ থেকে পরিণত করেছে অমানুষে। সৃষ্টির হাজারো প্রাণীর মধ্যে অবশ্য অমানুষ নেই। তাই অমানুষগুলো সম্পূর্ণ আলাদা। ওদের প্রধান শত্রু মানুষ।
মানুষ দেখলেই উন্মাদ হয়ে যায় ওরা। বিশ্বের দেশে দেশে ওদের আস্তানা। ওরা মানুষ নিয়ে খেলে। বীভৎস রুচিবোধের এসব অমানুষ কাঁপাচ্ছে এখন দুনিয়া। ওদের হাতে সব মানুষ এখন অনিরাপদ। নিউজিল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তান, আমেরিকা থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে এশিয়া সর্বত্রই এদের দাপট। ওদের কাছে সাদা-কালো নেই। শিশু আর বৃদ্ধ নেই। নারী-পুরুষ নেই। মসজিদ, মন্দির, গির্জাও তাদের মাথা নোয়াতে পারে না। এসব অমানুষের কাছে সব মানুষই টার্গেট। ওদের নেশা মানুষের রক্ত পান করা। ওদের বীভৎসতা, নির্মমতা বিশ্ব হৃদয়কে নাড়া দেয়। রক্ত ঝরায়। কিন্তু ওরা এসব দেখে উল্লাস করে। বাহাদুরি দেখিয়ে বিবৃতি দেয়। আমরা এ কাজ করেছি।
নিষ্পাপ শিশু জায়ান থেকে শুরু করে শত শত মানুষের রক্ত ঝরিয়ে অমানুষগুলো তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে। মানুষগুলো ওদের নাম দিয়েছে জঙ্গি। সন্ত্রাসী। হায়েনা। ওরা মানুষের দুশমন। ওরা পৃথিবীকে অস্থির করার যন্ত্র। দেশে দেশে ওদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তারপরও থেমে নেই ওদের পথচলা। এসব অমানুষ কি কখনো মানুষ হবে না? ওদের দিল্ কি কখনো পরিষ্কার হবে না? ওরা কি অমানুষই থেকে যাবে? পৃথিবী কি দিন দিন ওদের কাছে বন্দি হয়ে পড়বে? নিউজিল্যান্ডের পর শ্রীলঙ্কায় রক্তের নহর গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়েছে। মানুষের হৃদয় ক্ষত হয়েছে। হচ্ছে। কিন্তু সব মানুষ যেন অসহায়। সব মানুষের একটাই কথা- আর কত রক্ত গঙ্গা? কোথায় গিয়ে ঠেকবে রক্তের এ নহর?