সাউথ আফ্রিকায় আবারো সন্ত্রাসীর হাতে এক বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বুচি নামের এক সন্ত্রাসী বাংলাদেশি অনিকের (২২) শরীরে প্রথমে আগুন লাগিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। নিহত অনিক পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামের কুড়াইতলীর অহেদ আলীর ছেলে। এখন অনিকের লাশের অপেক্ষায়ই রয়েছে তার স্বজনেরা।
নিহত অনিকের পিতা ও স্বজনেরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, অনিক চারমাস আগে কাজের সন্ধানে সাউথ আফ্রিকায় যান। সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডেবন শহরের একটি শপিংমলে কাজ করতেন তিনি। গত ১২ই এপ্রিল শপিংমলে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা অনিককে ধরে নিয়ে যায়। এদিকে সাউথ আফ্রিকায় তার আপন বড়ভাই ইউসুফ তার পাশের একটি এলাকায় কাজ করতেন। সেখান থেকে তার বড় ভাই ইউসুফ এ প্রতিবেদককে জানান, অনিককে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি ও অন্যরা মিলে সন্ধান করি।
খুঁজে না পেয়ে সে দেশের পুলিশকেও জানায়। পরে ১৬ই এপ্রিল পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং-এর মাধ্যমে বুচি নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে এবং সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। এদিকে পুলিশ অনিকের আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। আমরা অনিকের লাশ দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবরে অনিকের বাবা অহেদ আলী ও মা শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। গতকাল অনিকের গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বোনসহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।