ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের শিকার হয়ে মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী গ্রামের অধিবাসীরা বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ চাইছেন। মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের উমকিয়াং গ্রামের স্থানীয় যুব সমিতি গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। সেখানে তারা তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানোর জন্য মেঘালয় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটি অনাপত্তিপত্র সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২শে এপ্রিল দি হিন্দু এ খবর দিয়েছে। ‘মেঘালয় সরকার যদি আমাদের যথাযথ বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করতে না পারে। তবে স্থানীয় জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ওই সমিতির মুখপাত্র মি. কিনজাইমন আমেস বলেন, ‘আমাদের কথা একটাই, বিদ্যুৎ চাই। সেটা যে দেশ পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে, এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা সেখান থেকেই নেবো।’ মিঃ আমেস আরো বলেন, শুধুমাত্র উমকিয়াং একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ছিল না।
একইরকম পরিস্থিতি কুলিয়াং, পাইতকাকুনা ও রাতারছেড়ার মতো প্রতিবেশী গ্রামগুলোতেও বিরাজমান। সবাই দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সংকটে ধুঁকছে। মাসিক বিদ্যুৎ চার্জ প্রতিটি পরিবারের জন্য ৬৫০ রুপিরও বেশি। অথচ আমরা প্রতিদিন বড়জোর পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাই।’ উল্লেখ্য, দি হিন্দু-র সাংবাদিক ওই সভার খবর পেয়ে মেঘালয় এনার্জি করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান-কাম-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ই. ডব্লিউ নং গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তার তরফে কোনো ফিরতি ফোন কল বা খুদে বার্তা আসেনি। পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের জেলা কর্মকর্তারা জানান, গ্রামবাসীরা সবেমাত্র নিজেদের মধ্যে এনিয়ে সভা করেছে। পরে যদি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তাদের অভিপ্রায় জানাতে কোনো একটি আবেদন জমা দেয়, তখন তারা কীভাবে এই ধরনের অনুরোধ মোকাবিলা করবে তা তাদের জানা নেই।