× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তোমাদের মতো অভাগা আর কেউ নেই

ষোলো আনা

চেলসি ভেরোনিকা রেমা
৩ মে ২০১৯, শুক্রবার

মাহফুজ উল্লাহ স্যারের কাছে যদি চিঠি লিখে পাঠানো যেত, তাহলে হয়তো অনেক কথা ব্যক্ত করা যেত। যাক! প্রার্থনার মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। কিছু প্রার্থনা হয়তো ইতিমধ্যে স্যার পেয়েও গেছেন। স্যারের উদ্দেশ্যে বলা কথা কেনো সবার সামনে বলব?

কেউ শিক্ষকের মাঝে অভিভাবক খোঁজে, কেউ খোঁজে পথপ্রদর্শক আবার কেউ শিক্ষকের মধ্যে কিছু খোঁজার প্রয়োজনই বোধ করে না। কিছু শিক্ষক সহজেই হতাশ হয়ে বলে দেয়- এই, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। কিছু শিক্ষক থাকেন যিনি মস্তিষ্ককে এমনভাবে তৈরি করে দেন যে, শিক্ষার্থী ভাবতে শুরু করে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যখন সমগ্র দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে ক্লাস বয়কট করা শুরু করেছে। আমরা কিছু হবু সাংবাদিক তখন ভালো ছাত্রছাত্রীর মতো ক্লাস করতে চলে গেলাম। স্যারও আসলেন।
সেদিন স্যার বলেছিলেন- তোমাদের মতো অভাগা আর কেউ নেই। তোমরা প্রতিবাদ করতে জানো না। সেদিন স্যারের দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম। জানি না, স্যার লক্ষ্য করেছিলেন কি না। স্যারের ক্লাস শেষে যখন সবাই মিলে সড়কে নেমে গেলাম, স্যারকে দেখলাম হাসিমুখে বের হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্যারকে দেখে মনে হলো স্যার বুঝেছেন কিংবা খেয়াল করেন নি। কি জানি। সেদিন শেষ পর্যন্ত ছিলাম আন্দোলনে। কিন্তু স্যারের কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় সবাই যখন ভাগে একটা করে চকলেট পেয়েছিল আমাকে স্যার কি মনে করে ঠাট্টার ছলে হেসে বলেছিলেন- তুমি তো আন্দোলনের পক্ষে তাই না? এই নাও তোমার জন্য আরেকটা চকলেট। এরপর যখনই দেখা হতো স্যারকে ডাক দিলেই হাসিমুখে তাকাতেন। শেষবার যখন দেখা হয়েছিলো, তখন স্যারকে বলেছিলাম- স্যার অন্য বই না পড়লেও আপনার লেখা বইগুলো অবশ্যই পড়ব।

স্যার, চেষ্টা করবো সারাজীবন আপনার হাসিখুশী ছবি স্মৃতিতে রাখতে। কারণ আপনার হাসিটাই সবচেয়ে প্রিয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর