× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

শরীর ও মন


৩ মে ২০১৯, শুক্রবার

সম্প্রতি ইরানে কয়েকটি শহরে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছিল। এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় ইস্পাহান মেডিক্যেল বিশ্ববিদ্যালয় ইরান থেকে সে এলাকার মানুষদের সেবা দিতে কয়েকবার ক্যাম্প করা হয়েছিল। ক্যাম্পগুলোর প্রায় প্রতিটি সাজানো হয়েছিল কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অথবা অন্যকোন ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ সঙ্গে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি ক্যাম্পে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিছু ক্যাম্প শুধুমাত্র মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল। বিষয়টি শুনে কৌতুহল হয়েছিলাম এজন্য যে বন্যাদূর্গত এলাকায় আদৌ কি এত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সরাসরি বন্যা দূর্গত এলাকায় যাওয়া সম্ভব না হলেও যারা বন্যাদূর্গত এলাকায় সেবা দিতে ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন ডাক্তারের সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তাঁরা ক্যাম্পগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, মূলত এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরা।
এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কম সময় নিয়ে এলেও এর প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে সেসব এলাকার মানুষদের মনে দীর্ঘস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। যা তাঁদের ভবিষৎ জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এসব মানুষের পাশে গিয়ে সমবেদনা জানানো সাথে যতটুকু পারা যায় তাঁদের সাহস দেয়া এবং তাঁদের অবস্থা শুনতে চাওয়া ইত্যাদি তাঁদের মানসিকভাবে অনেক সহযোগীতা করতে পারে। অনুরোধ করবো বাংলাদেশের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের, প্রাকৃতিক দুযোগ যেমন বন্যা, ভুমিকম্প অথবা অগ্নিকান্ডে আক্রান্তদের মানসিকভাবে সাহস দিতে তাঁদের পাশে থাকার।

লেখক: কামরুজ্জামান নাবিল, ইরানের ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) বিভাগের শিক্ষার্থী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর