আফ্রিকার রাষ্ট্র উগান্ডার গণমাধ্যমগুলো ওক অদ্ভুত চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। দেশটির কর্তৃত্ববাদী সরকারের আরেক খামখেয়ালির শিকার গণমাধ্যমকর্মীরা। উগান্ডা কমিউনিকেশন কমিশন (ইউসিসি) সম্প্রতি দেশটির প্রভাবশালী ১৩ গণমাধ্যম সংস্থার মোট ৩৯ জন গণমাধ্যমকর্মীকে ছাটাই করার নির্দেশ দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সম্পাদক ও নিউজ হেডরাও। দেশটির সঙ্গীত তারকা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ববি ওয়াইনকে গ্রেপ্তারের ফুটেজ ধারণ ও প্রচার করায় তাদেরকে বরখাস্থ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
ববি ওয়াইনের আসল নাম কিয়াগুলানি সেন্তামু। ইউসিসির নিষিদ্ধ করা সাংবাদিকদের একজন জেমস সেনকুবুগে বলেন, ওইদিন কিয়াগুলানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় লুজিরা কারাগারে।
এত বড় খবর গণমাধ্যমকর্মীরা ধারণ করায় এখন নিজেরাও ঝামেলায় পরলো। ইউসিসি আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, সেদিন যেসব মিডিয়ায় যত ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে তা তাদের কাছে জমা দিতে। জেমস রাজধানী কামপালার সল্ট মিডিয়ার হেড অফ প্রোগ্রাম ছিলেন। কিন্তু তাকে ওই ঘটনার পর বরখাস্থ করা হয়। পরে ইউসিসির সঙ্গে বৈঠকের পর তাকে আবারও চাকরিতে জয়েন করতে দেয়া হয় তবে এবার তিনি পেয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার পদ।
ইউসিসি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ৩৯ সাংবাদিককে ৩০ দিনের জন্য সরে দাড়াতে হবে। এরমধ্যে তারা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবে কে কে উগান্ডার ব্রডকাস্টিং স্টান্ডার্ড ভঙ্গ করেছেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, ৩৩ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসেভেনি তার রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যেই এসব করছেন। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও আফ্রিকান সেন্টার ফর মিডিয়ার পরিচালক পিটার মোসিজ বলেন, এটাই প্রথম ঘটনা এমন নয়। এমন অনেক সাংবাদিক ও মিডিয়াই আছে যারা নিয়মিত ইউসিসির হুমকির মধ্যে থাকেন। সেসব কখনো লেখা হয় না। চাইলেই কর্তৃপক্ষ আপনার লাইসেন্স বাতিল করে দেবে। এমনকি কোনো ঘোষণা ছাড়াই পরিবেশনা বন্ধ করে দেবে।