× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রয়াত হয়েছেন ল্যুভর পিরামিডখ্যাত স্থপতি আই এম পেই

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) মে ১৮, ২০১৯, শনিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন

বিগত ছয় দশক ধরে স্থাপত্য জগতের উজ্জ্বল তারকা হয়ে থাকা স্থপতি ইয়েওহ মেং পেই মারা গেছেন। তবে আই এম পেই নামেই বেশি পরিচিত তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। গত বৃহসপতিবার (১৫ই মে) রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই চীনা-আমেরিকান স্থপতি। এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

গত শতক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তার আঁকা নকশায় ও নির্দেশনায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে অনিন্দ্যসুন্দর ও খ্যাতনামা সব ভবন। আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তার কাজের নিদর্শন। সেসবের মধ্যে রয়েছে প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘরের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত ল্যুভর পিরামিড; হংকংয়ের ব্যাংক অব চায়না টাওয়ার; আথেন্সের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট; কাতারের ইসলামিক মিউজিয়াম, চীনের সুহজো মিউজিয়াম, বোস্টনের জন এফ কেনেডি মিউজিয়াম, ডালাস সিটি হলসহ আরো  বহু খ্যাতনামা সরকারি-বেসরকারি স্থাপত্য। তার কাজে নিপুণ জ্যামিতিক গঠন ও প্রাকৃতিক আলো প্রাধান্য পেয়েছে।


আই এম পেই ১৯১৭ সালে হংকংয়ে ধনশালী এক ব্যাংকারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান। তিনি এমআইটি ও হার্ভার্ড থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

তার কাজের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকলেও পেই বিশ্বাস করতেন, ঐতিহ্যের গুরুত্বে। তার বিশ্বাস ছিল সবকিছুরই শেকড়ের সঙ্গে টান থাকা উচিত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমি বুঝি যে, সময় পাল্টেছে। আমরা এগিয়ে গেছি। কিন্তু আমি শুরুটা ভুলে যেতে চাই না। একটা স্থায়ী স্থাপত্যের অবশ্যই শেকড়ের সঙ্গে যোগ থাকা উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর