× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাড়তি দামে স্থিতিশীল কাঁচাবাজার

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ মে ২০১৯, শনিবার

রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুরুতে ব্যবসায়ীরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে নানা কৌশলে দাম বাড়িয়ে চলছিলেন। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে দু‘একটি নিত্যপণ্যের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে বেশির ভাগ সবজি, মাছ ও মাংসের দাম। অর্থাৎ রমজানের শুরুতেই যেভাবে নিত্যপণের দাম বেড়েছিল, তা আর বাড়েনি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পিয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা দেশি পিয়াজ মানভেদে বিক্রি করছেন ২৫-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। বাজারে ভালো মানের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫ টাকা। এদিকে কাওরান বাজারে ভালো মানের দেশি পিয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা।
অর্থাৎ পাইকারিতে প্রতিকেজি ভালো মানের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৪ টাকা কেজি। আগের সপ্তাহে পাইকারিতে ভালো মানের দেশি পিয়াজের পাল্লা বিক্রি হয় ১২৫-১৩০ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২ টাকা।
কাওরান বাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, রোজার আগে পিয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৫ টাকা করে বেড়েছিল। ধারণা ছিল রোজায় পিয়াজের দাম আরো বাড়বে। তবে নতুন করে দাম না বেড়ে হঠাৎ করেই দাম কমেছে। আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি কমেছে বেগুনের দাম। রোজার শুরুতে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল লম্বা বেগুনের। রোজার প্রথম কয়েক দিন ঢাকার বাজারে সেরা মানের লম্বা বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সাধারণ বেগুন পাওয়া যেত ৭০-৮০ টাকায়। এখন বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এদিকে কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি, শসা ৪০-৫০, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে পটল ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৭০, লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাকরোল ৬০-৮০, ঝিঙা ৫০-৭০, শিম ৪০-৬০, গাজার ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেজতুরী বাজারের বাসিন্দা আলম হোসেন কেনাকাটা করছিলেন। তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার কারণে যেসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল, সেটা এখন কিছুটা কম দেখছি। তবে ব্যবসায়ীরা যে কোনো সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা যেন এটা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সরকারের প্রতিনিধি দল যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে, তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করা যাবে। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি দরে। লাল লেয়ার মুরগির ১৮০-১৯০ এবং পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২৫-৫৫০ আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি। কোনো কোনো বাজারে মাংস ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে গরুর মাংস ৫২৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেলেও অনেক দোকানে মূল্যতালিকা টাঙাতে দেখা যায়নি। মাংস ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, আমাদের গরু কিনতে খরচ বেশি হচ্ছে। গরু আনতে যে ব্যয় হচ্ছে তাতে মাংসের কেজি ৫৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কে কী বললো তা দেখার সময় আমাদের নেই। আমরা কাউকে জোর করে মাংস ধরিয়ে দিচ্ছি না। এদিকে মাছের দাম এখনো বেশ চড়া। তেলাপিয়া মাছ আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক জায়গায় মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর