দীর্ঘদিন ক্যাম্পে থাকার পর ঈদের ছুটিতে যাচ্ছেন নারী ফুটবলাররা। আগামী সোমবার থেকে ঈদের ছুটি পাবেন তারা। ফের ক্যাম্পে যোগ দেবেন আগামী ৮ই জুন। নারী ফুটবলারদের দীর্ঘ এই ছুটির খবরটি জানিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ‘আড়াই বছরের মধ্যে এবারই মেয়েরা অনেক দিনের ছুটি পাচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে লম্বা সময় কাটাতে পারবে তারা’-বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে দল দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ। দেশে বিদেশে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে জিতে আনছে ট্রফি।
আড়াই বছরে দু’টি এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব ও একটি চূড়ান্ত পর্ব খেলেছেন মারিয়ারা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৮ ও ১৯ পর্যায়ে বেশ কিছু টুর্নামেন্টও খেলেছেন নারী ফুটবলাররা। সর্বশেষ ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল গোল্ডকাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মৌসুমী, মারিয়ারা। যদিও এর আগে বাফুফে ভবনে আবাসিক ক্যাম্প চলছে মারিয়া, তহুরা, সানজিদাদের। লক্ষ্য এ বছর সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চুড়ান্ত পর্বে ভালো করা। ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই সঙ্গে ২০২০ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করাও অন্যতম লক্ষ্য থাকবে। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টের সেরা তিন দল খেলবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে। সে লক্ষ্যেই বিরতিহীন ভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে মারিয়া বাহিনী। তবে ক্যাম্প থেকে এবার লম্বা বিরতির ছুটি পাচ্ছেন তারা। ছোটন বলেন, ‘নিয়মিতভাবে বেশি ক’টি টুর্নামেন্টে খেলেছে মারিয়ারা। টুর্নামেন্ট খেলে এসেই আবার অনুশীলনে নেমেছে তারা। দীর্ঘ সময় নিয়মিত অনুশীলন করার পর এবার লম্বা ছুটি দেয়া হচ্ছে তাদের। কিছুটা রিফ্রেশমেন্টের জন্যই। আশা করি ছুটি কাটিয়ে তারা আবার অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্যপূরনে সচেষ্ট হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘থাইল্যান্ড থেকে খেলে আসার পর ডিসেম্বরেই নেপালে রয়েছে সাউথ এশিয়ান গেমস। সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাসনা নিয়ে যাবে মেয়েরা। তাই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমস -এ দু’টি আসরেই দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে মেয়েরা অনুশীলনে বেশ মনযোগী।’