× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র হবে ভারত! / ভবিষ্যত নিয়ে আতঙ্কিত ভারতের মুসলিমরা (২)

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) মে ১৮, ২০১৯, শনিবার, ২:০৯ পূর্বাহ্ন

কাশ্মিরে ৮ বছর বয়সী মুসলিম এক কন্যাশিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে র‌্যালি করেছেন সেখানকার বিজেপি দলীয় মন্ত্রী চৌধুরী লাল সিং এবং চন্দ্রর প্রকাশ গঙ্গা। ওই ধর্ষণের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তিনি এই ব্যক্তিদের এমন কর্মের কারণে পদত্যাগ করতে বলেন নি। কিন্তু বেশ কয়েক সপ্তাহের চাপের ফলে তারা পদত্যাগ করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্ষণে যুক্ত এবং তাদের পক্ষাবলম্বনকারীদের পক্ষে অবস্থান অব্যাহত রাখেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। তিনি বলেন, দল চায় নি মিস্টার গঙ্গা এবং মিস্টার সিং পদত্যাগ করুন। তারা পদত্যাগ করেছেন এ জন্য যে, মিডিয়া একটি আবহ সৃষ্টি করেছিল, যাতে বলা হয়েছিল তারা ধর্ষণকারীদের সমর্থন করছেন। বিবিসিতে দীর্ঘ প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন রাজিনি বিদ্যানাথান।


তিনি আরো লিখেছেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি প্রকাশ্যে ধর্মীয় সহিংসতাকারীদের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। যারা মারাত্মকভাবে এসব সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন তাদের প্রতি মারাত্মক অসম্মান দেখানো হয়েছে এর মাধ্যমে। এখানে উল্লেখ্য, বিজিপি ধারণ করে হিন্দু জাতীয়বাদের আদর্শ। দলটির সিনিয়র অনেক কর্মকর্তা ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দাবি তুলেছেন। কিন্তু দলের নেতারা বার বার বলেছেন, তারা সংখ্যালঘুদের বিরোধী নন।
২০১৫ সালে ইট দিয়ে আঘাত করে ৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আখলাককে হত্যা করে একটি গ্রুপ। তাদের অভিযোগ, আখলাক গরু জবাই করেছিলেন। আখলাককে খুনিদের কাউকে কাউকে এবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশে নির্বাচনী র‌্যালিতে দেখা গেছে। যোগী আদিত্যনাথ প্রচ- ইসলামবিরোধী। এ জন্য গত মাসে তাকে কয়েকদিনের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিজেপির এই বিতর্কিত রাজনীতিককে মাঝে মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দেখা যায় একই মঞ্চে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীপরিষদের বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা অতি সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, ২০১৭ সালে এক গরু ব্যবসায়ী মুসলিমকে হত্যার জন্য মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে একদল মানুষকে। তাদের আইনগত ফি মিটানোর জন্য তিনি তাদেরকে অর্থ দিয়েছেন। বিবিসি হিন্দি’র জুগাল পুরোহিতের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জয়ন্ত সিনহা বলেছেন, তিনি ওইসব অভিযুক্তদের সহায়তা করছেন। তারা বিজেপির সদস্য। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন, অভিযুক্তদের অন্যায়ভাবে দোষী দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসের আউটসোর্সিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন শীর্ষস্থানীয় লেখিকা ও রাজনৈতিক অধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। তিনি বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচক। অরুন্ধতী যুক্তি দেখান যে, এমন নজরদারীকারী গ্রুপ এসব অপরাধ করতে সক্ষম হচ্ছে। এর কারণ তাদেরকে উপর থেকে সুরক্ষা দেয়া হয়।

তবে বিজেপির মুখপাত্র নলিন কোহলি একথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, তার দল ঘৃণাপ্রসূত অপরাধে কোনো ভূমিকা রাখে না। তিনি এক্ষেত্রে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলোর রিপোর্টের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা এমন সব পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। কোহলি বলেন, মোদি সরকারের অধীনে বিজেপি দিয়েছে সমাজকল্যাণ। তাতে সুবিধা পেয়েছে সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষ। এ দলটি ১৩০ কোটি ভারতীয় নাগরিকের। এ দল ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না।
কিন্তু এবার নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অনেকেই আশঙ্কা করেছেন, বিজেপি যদি দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রের খুব কাছাকাছি চলে যাবে।
(বাকি অংশ আগামীকাল)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর