ত্রিদেশীয় সিরিজের মাঝপথে হুট করেই চাউর হয়ে গেল একটি গুঞ্জন, আবু জায়েদ রাহীর ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। প্রধান নির্বাচক ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই গুঞ্জন জোরালো করেন রাহীর ইনজুরির কথা বলে। পরে সেই আবু জায়েদ রাহীই খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লীগপর্বের শেষ দুই ম্যাচে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ৫ উইকেট নিয়ে জেতেন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। রাহীর এমন পারফরমেন্সে নড়েচড়ে বসে বিসিবি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইনজুরি না হলে স্কোয়াডে আর কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েসদের মতো ৬-৭ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে বিশ্বকাপের রিজার্ভ স্কোয়াড গঠন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। পাপন বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত কোনো কারণ যেমন কোনো খেলোয়াড়ের ইনজুরি বা এমন কিছু না হলে আমরা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে কোনো পরিবর্তন আনছি না।
যে ১৫ জন দেয়া হয়েছে ওরাই খেলবে বিশ্বকাপে।’ তবে কেউ ইনজুরিতে পড়লে কাদের নেয়া হবে স্কোয়াডে এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি বস বলেন, প্রতিটি পজিশনের জন্যই বিকল্প খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা তালিকা করেছে বিসিবি, যাদের রাখা হবে রিজার্ভ স্কোয়াডে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের সম্ভাব্য পরিবর্তিত খেলোয়াড়দের একটা তালিকা করেছি। প্রতিটা পজিশনের জন্য আলাদা আলাদা বিবেচনা করেই আমরা এ রিজার্ভ স্কোয়াডটা বানিয়েছি, যেখানে ৬-৭ জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে।’ কোন ৬-৭ খেলোয়াড়কে নিয়ে করা হয়েছে রিজার্ভ স্কোয়াড সে ব্যাপারে কিছু বলেননি পাপন। তবে জানিয়েছে ইমরুল কায়েস ও তাসকিন আহমেদের নাম। দলে পাঁচ পেসার থাকায় এ মুহূর্তে তাসকিনের জায়গা নেই। তবে কেউ ইনজুরিতে পড়লে তাসকিনের নামই আগে আসবে বলে জানান তিনি। বিসিবি সভাপতির ভাষ্যে, ‘আপনি উদাহরণস্বরূপ দেখেন, আমাদের স্কোয়াডে মোস্তাফিজ, রুবেল, সাইফউদ্দিন আছে পেসার হিসেবে। সেখানে আবু জায়েদ হলো পঞ্চম পেসার। তাই আমরা তাসকিনকে রিজার্ভ স্কোয়াডে রেখেছি। কেউ ইনজুরি তাকেই নেয়া হবে। একইভাবে ওপেনিংয়ে আমরা রেখেছি ইমরুলকে, মিডল অর্ডার থেকে শুরু করে প্রতিটা জায়গার জন্য খেলোয়াড় নিয়ে একটা তালিকা করেছি।’