এইবারের বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচ দিয়ে আজ পর্দা নামছে ২০১৮-১৯ লা লিগা আসরের। এই ম্যাচের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল বেটিসের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এবারের লা লিগায় ১১ ম্যাচ হেরেছে দলটি। আর আসরের শেষ দিনে মাদ্রিদিস্তারা রয়েছে লজ্জার এক রেকর্ডের মুখে। লা লিগার এক আসরে সবশেষ ১৯৯৮-এ ১২ ম্যাচে হার দেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান শেষটায় জয় দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আনোয়েতার (রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ) পুনরাবৃত্তি হোক।’ নিজেদের সবশেষ ম্যাচে সোসিয়েদাদের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
এবার বেশ বাজে একটি মৌসুম পার করলো রিয়াল। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে হুয়ান লোপেতেগিকে কোচ বানায় রিয়াল। লোপেতেগি তখন স্পেন জাতীয় দলের কোচ।
ওই ঘটনা স্প্যানিশ ফুটবলে বিতর্ক বয়ে আনে। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে না জানিয়ে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় বরখাস্ত হন লোপেতেগি। রিয়ালেও বেশিদিন টিকতে পারেননি তিনি। কয়েক ম্যাচ দায়িত্ব পালন করার পর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে চাকরি হারান লোপেতেগি। এরপর কোচের দায়িত্বে আসেন সান্তিয়াগো সোলারি। তার অধীনে কয়েক ম্যাচ ভালো করার পর আবার খেই হারিয়ে ফেলে রিয়াল। মৌসুমের শেষ দিকে বরখাস্ত হন সোলারি। টালমাটাল অবস্থায় রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নেন গত মৌসুমে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয়া জিদান। কিন্তু জিদানও ছন্দে ফেরাতে পারেননি রিয়ালকে। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পেছনে থেকে শেষ করতে যাচ্ছে তারা। চলতি মৌসুমে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলো, কোপা দেল রের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। সবমিলিয়ে ৫৬ ম্যাচের ১৭টিতে হেরেছে রোজি ব্লাঙ্কোসরা। গত ২০ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বাজে মৌসুম রিয়ালের। সর্বশেষ ১৯৯৯-২০০০ সালে ১৭ ম্যাচ হেরেছিল দলটি।
কালোর মাঝে আলো হয়ে জ্বলেছেন করিম বেনজেমা। চলতি মৌসুমে লা লিগায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ২১ গোল করেছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। তবে তালিকায় শীর্ষে থাকা লিওনেল মেসি অনেকটাই এগিয়ে। ৩৪ গোল করে শুধু লা লিগা নয় ইউরোপের শীর্ষ ৫ লীগেরই সর্বাধিক গোলদাতা মেসি।