শ্রমিক-কৃষক সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন, যেখানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলা হয়- সেখানে আমদানির প্রশ্নই আসে না। কিন্তু আজকে এই সরকার চাল আমদানি করছে। এটা সরকারের কারসাজি। দেশের কৃষকদের মূল্য দিতে হবে। তাদের উৎপাদনের মূল্য দিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে। আজকে আমাদের মৌলিক শিল্পগুলোকে রক্ষা করতে হবে। আজকে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে শ্রমিক-কৃষক একসাথে আন্দোলন করে তাদের অধিকার আদায় করতে হবে।
কৃষকদের মধ্যে যে হতাশা তাকে রোধ করতে হবে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যায় সংগত ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী পাটকল শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা বলেন, পাট আমাদের মৌলিক সম্পদ এটাকে বাঁচাতে হবে। পাটের কলের শ্রমিক কর্মচারীদের বাঁচাতে হবে। পাটের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। মিল কারখানা আরও চালু করতে হবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত মিল কারখানাগুলো বেসরকারি পর্যায়ে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নোমান বলেন, আজকে দেশের যে পরিস্থিতি এই পরিস্থিতিতে মনে রাখতে হবে- কৃষক যদি না বাঁচে তাহলে দেশ বাঁচবে না। কৃষককে রক্ষা করতে হবে। কৃষককে রক্ষা করতে হলে চাষাবাদের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। চাষাবাদকে যদি বিস্তৃত করতে হয় তাহলে কৃষককে উৎপাদনের খরচ দিতে হবে। আজকে উৎপাদনে কৃষকের যেই খরচ হচ্ছে সে খরচের টাকাও তারা পাচ্ছে না। খাদ্যমন্ত্রীর চাল রপ্তানি সংক্রান্ত এক বক্তব্যের সমালোচনা করে নোমান বলেন, যেখানে সরকার আমদানি করছে সেখানে উদ্বৃত্ত হয় কি করে? আসলে দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। এদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা পাচার হচ্ছে।