বাংলাদেশে রোহিঙ্গা, ইরাক ও ইয়েমেনে বাস্তুচ্যুতদের জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিতে ৪০ লাখ ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কাতার চ্যারিটি (কিউসি) এবং ইউএনএইচসিআর। দোহায় কিউসির সদর দপ্তরে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোতে ইউএনএইচসিআরের আঞ্চলিক প্রতিনিধি খালেদ খলিফা ও কাতার চ্যারিটির সিওও ফয়সাল রশিদ আল ফেহাইদা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ টাইমস। ইরাকে ও ইয়েমেনে অভ্যন্তরীণভাবে যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ইউএনএইচসিআর যে প্রকল্প নিয়েছে, এই চুক্তি তাতে সমর্থন দেবে। প্রথম চুক্তিতে ফোকাস দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৮০ হাজার বিপন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে। তাদের আশ্রয়, জ্বালানি, বিদ্যুত ও পয়ঃনিষ্কাশনের মতো অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা মেটানো হবে। এ জন্য মোট অর্থ দেয়া হবে ২০ লাখ ডলার।
এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে একটি চুক্তিতে ইরাকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া ৩০০ পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয়, পুনর্বাসনের জন্য দেবে ১০ লাখ ডলার।
অন্য একটি চুক্তিতে কাতার চ্যারিটি ইয়েমেনে ফিরে আসা পরিবারগুলোকে আবাসিক সহযোগিতা হিসেবে দেবে ১০ লাখ ডলার। এই অর্থ দেয়া হবে নগদ হিসেবে। এ প্রকল্প থেকে ইয়েমেনে সুবিধা পাবেন প্রায় ১২ হাজার ৬০০ মানুষ।
খালেদ খলিফা বলেছেন, কাতার চ্যারিটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের অংশীদারির জন্য ইউএনএইচসিআরকে অনেক বেশি ধন্যবাদ দিতে হয়। তারা ইরাক, ইয়েমেনে বাস্তুচ্যুত এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভীষণ মানবিক চাহিদাগুলো পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তাদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের অবস্থার উন্নতিমূলক কর্মকাণ্ডে সমর্থন শক্তিশালী করতে সহায়তা করছি।
অনেক বছর ধরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর এবং কাতার চ্যারিটির সহযোগিতার রেকর্ড আছে। ২০১১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের এসব কর্মকাণ্ডে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে কাতার চ্যারিটি। এ ছাড়া বাংলাদেশ, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন, জর্ডান ও সোমালিয়ায় ১৫ লক্ষাধিক শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে তারা।