× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিটির ট্রেবল শিরোপার সঙ্গে রেকর্ড ‘ফিফটি’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ মে ২০১৯, সোমবার

প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসে প্রথমবার ‘ঘরোয়া ট্রেবল’ জেতার র্কীতি গড়লো ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার এফএ কাপের ফাইনালে ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ গোলে হারিয়ে ‘ঘরোয়া ট্রেবল’ নিশ্চিত করে সিটিজেনরা। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে লীগ কাপ, এবং গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতে পেপ গার্দিওলার দল। এদিন এফএ কাপে ১১৬ বছরের পুরনো এক রেকর্ড স্পর্শ করে ম্যানচেস্টার সিটি। এফএ কাপের ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করে ম্যান সিটি। ১৯০৩ সালে ডার্বি কাউন্টিকে ৬-০ গোলে হারায় ইংলিশ ক্লাব বুরি এফসি। গত তিন বছরে ক্লাবকে ষষ্ঠ ট্রফি এবং প্রথম ক্লাব হিসেবে ‘ঘরোয়া ট্রেবল’ জিতিয়েছেন কোচ গার্দিওলা। ম্যাচে শেষে তিনি বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিততে পছন্দ করি।
কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে ট্রেবল জেতা আমার মতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের চেয়েও কঠিন।’ ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দুবার প্রিমিয়ার লীগ, দুবার লীগ কাপ, একবার কমিউনিটি শিল্ড ও এফএ কাপ জিতলেন গার্দিওলা। পেপ গার্দিওলা অষ্টম কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের শীর্ষ টুর্নামেন্টগুলো লীগ কাপ, এফএ কাপ জিতেছেন। এর আগে বিল নিকোলসন, ডন রেবিয়ে, জো মার্কার, কেনি ডালগ্লিশ, জর্জ গ্রাহাম, অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং হোসে মরিনহো।
শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ওয়াটফোর্ডকে হারিয়ে এক মৌসুমে ৫০ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়লো সিটিজেনরা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবের এক মৌসুমে  ৫০ জয়ের প্রথম নজির এটি। এক মৌসুমে সর্বাধিক ৪৪ জয়ের রেকর্ডটি ছিল ম্যান সিটি (২০১৭-১৮) ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (২০০৮-০৯)। ম্যান সিটির বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচেই হার দেখলো ওয়াটফোর্ড। এ সময় মোট ৩৮ গোল হজম করে ইংলিশ দলটি। এদিন ম্যাচের ২৬তম মিনিটে সিটিকে এগিয়ে নেন স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা। সিটিজেনদের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এফএ কাপ ও লীগ কাপের ফাইনালে গোল পেলেন সিলভা। এর আগে আইভরিয়ান মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরেও এফএ কাপ ও লীগ কাপের ফাইনালে গোল পেয়েছিলেন। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোল। বার্নাদো সিলভার পাস থেকে গোলমুখে মারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু গোলমুখি বলে পায়ের র্স্পশে জালে জড়ান স্টার্লিং। প্রথমে গোলটি স্টার্লিংয়ের নামের পাশে যোগ করা হলেও পরে তা জেসুসের নামে দেয়া হয়। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এ গোলের ব্যাপারে জানান স্টার্লিং পা ছোঁয়ানোর আগেই বল গোললাইন অতিক্রম করেছিল।
ম্যাচের ৬১তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে স্কোর লাইন ৩-০ করেন। জেসুসের পাস থেকে বল জালে জড়ান এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। ৬৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জেসুস। এবার ডি ব্রুইনার পাস থেকে এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের গোল। এনিয়ে এফএ কাপে মোট ৮ গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন জেসুস (৫ গোল ৩ অ্যাসিস্ট)। চলতি মৌসুমে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ২০ উর্ধ্ব গোল পেয়েছেন জেসুস (২১ গোল)। তার সঙ্গে আছেন সার্জিও আগুয়েরো (৩২ গোল) ও রাহিম স্টর্লিং (২৫ গোল)। ম্যাচের শেষ দিকে রাহিম স্টার্লিংয়ের ভেলকি। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন। আর ৮৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ম্যাচে গোলের ‘হাফডজন’ পূর্ণ করেন এই ইংলিশ উইঙ্গার। এবারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সরাসরি ৪৩ গোলে অবদান রেখেছেন স্টর্লিং (২৫ গোল, ১৮ অ্যাসিস্ট)। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ কোয়ার্টার ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে (দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ এগ্রিগেট) অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে আসর থেকে বাদ পড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ওয়েম্বলিতে ম্যাচ শেষ গার্দিওলা বলেন, ‘কোচ হিসেবে আমার সেরা একটা মৌসুম কাটলো। আমি বলবো না সবচেয়ে সেরা মৌসুম এটি, কিন্তু সেরা মৌসুমগুলোর একটি। প্রথমবারের মতো ‘ঘরোয়া ট্রেবল’ জিতলাম। এর মানে এক দল যদি এমন কিছু করতে সক্ষম হয়, তাহলে অন্য দলও তা করতে পারবে।’

এক মৌসুমে সর্বাধিক জয়
দল     জয়     সাল
ম্যান সিটি     ৫০     ২০১৮-১৯
ম্যান সিটি     ৪৪     ২০১৭-১৮
ম্যানইউ     ৪৪     ২০০৮-০৯
এভারটন     ৪৩     ১৯৮৪-৮৫
চেলসি     ৪২     ২০০৪-০৫
চেলসি     ৪২     ২০০৬-০৭
ম্যানইউ     ৪২     ২০০২-০৩
ম্যানইউ     ৪২     ২০০৬-০৭
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর