আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজাত গ্লোবাল মিডিয়া এওয়ার্ড জিতেছেন ‘দ্য ল্যান্ড অব ফ্রি প্রেস’ প্রচারণার হেলসিঙ্গিন সানোমা। এই এওয়ার্ডের শীর্ষ পুরস্কার জিতেছেন তিনি। শুক্রবার এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে এডিসন বলরুমে ৪ শতাধিক অতিথির উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। গ্লোবাল মিডিয়া এওয়ার্ডের প্রবর্তন করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া এসোসিয়েশন (আইএনএমএ)। বিশ্বজুড়ে যখন ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর এবং ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি তখন ‘দ্য ল্যান্ড অব ফ্রি প্রেস’ প্রচারণায় নামেন হেলসিঙ্গিন সানোমা। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘বেস্ট ইন শো’ ক্যাটেগরিতে এ পুরস্কার জিতলেন। অনুষ্ঠানে আরো ৩৫টি কোম্পানি এতে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে।
শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠান চলাকালে ২০টি ক্যাটেগরিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী ৪০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে সংবাদের ব্রান্ড, সংবাদ তৈরি, দর্শক বা পাঠকের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা, ভোক্তার চাহিদার বিষয়, বিজ্ঞাপন থেকে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব সহ বিভিন্ন বিষয়কে উৎসাহিত করা হয়। এবার গ্লোবাল মিডিয়া এওয়ার্ডের জন্য ৩৪ টি দেশ থেকে ১৬৫টি সংবাদ বিষয়ক কোম্পানি ৬৬৪টি এন্ট্রি দাখিল করেছিল।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল সংবাদপত্র বিষয়ক মিডিয়া, ম্যাগাজিন বিষয়ক মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়া, টেলিভিশন মিডিয়া ও রেডিও মিডিয়া। ৪৬ জন বিচারের প্যানেল ১৫টি দেশের ১৯৪ জনকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই করেন। তার ভিতর থেকে এ বছরের গ্লোবাল মিডিয়া এওয়ার্ড ডিনার অনুষ্ঠানে শীর্ষ বা প্রথম স্থান অর্জনকারীর নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি হলেন হেলসিঙ্গিন সানোমা। তার কোম্পানি সানোমা মিডিয়া হলো ফিনল্যান্ডভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ‘বেস্ট ইন শো’ ক্যাটেগরিতে তার ‘দ্য ল্যান্ড অব ফ্রি প্রেস’ প্রযোজনা করেছিল হেলসিঙ্গিন সানোমার সানোমা মিডিয়া। এটা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মধ্যে সামিটের সময়। ওই সময় এই দু’জন প্রেসিডেন্টই মিডিয়ার প্রতি ছিলেন ঘোর বিরোধী। ওই দু’ প্রেসিডেন্ট যে পথ দিয়ে যাবেন তেমন সম্ভাব্য তিনটি রুটে তিন শতাধিক বিলবোর্ড ভাড়া নেন হেলসিঙ্গিন সানোমা।
তাতে তিনি ইংরেজি ও রুশ ভাষায় বার্তা পৌঁছে দেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ওয়েলকাম টু দ্য ল্যান্ড অব ফ্রি প্রেস’-এর মতো স্লোগান। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বিশ্বের শক্তিধর এই দু’জন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে এই প্রচারণা শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। উঠে আসে মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা। এর ফলে ৪৭ টি দেশে কমপক্ষে ২৫০০ প্রবন্ধ লেখা হয় এর ওপর। দশ লাখের বেশি সামাজিক মত বিনিময় হয়। এর ফলে মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বিশ্বের শত শত সংবাদ বিষয়ক সংগঠন এ প্রচেষ্টায় যোগ দেয়।