× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কৌশল নির্ধারণে কলকাতায় আসছেন চন্দ্রবাবু, বৈঠক করবেন মমতা

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার

বুথফেরত জরিপের ফল বিপক্ষে। একে ‘গসিপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তো বলেই দিয়েছে, ‘২৩শে মের চূড়ান্ত ফলে সারপ্রাইজ’ দেবে তারা। দলের প্রধান, সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তার সম্মান হারিয়েছে। সে যা-ই হোক। বুথফেরত জরিপের ফলে মোটেও আস্থা নেই বিরোধী দলগুলোর। তারা একে আমলে না নিয়ে উল্টো কেন্দ্রে অ-বিজেপি সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মোটেও দমে যাননি বিরোধী শিবিরের শীর্ষ নেতানেত্রীরা।
হিসাব অনেক। যদি বুথফেরত জরিপের ফল সত্যি হয় তাহলে তো বিজেপিকে আটকানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। আর যদি ২০০৪ সালের মতো বুথফেরত জরিপের ফল উল্টে যায় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কী রকম হবে, কারা আসবে ক্ষমতায়, তা নিয়ে তখন এক অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সোমবার কলকাতা আসার কথা অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর। এ বিষয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, সোমবার দুপুর ৩টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন চন্দ্রবাবু। বিকালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হবে তাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে কোন পথে এগনো হবে, সেই কৌশল নিয়েও কথা হতে পারে।
নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রে অ-বিজেপি সরকার গঠনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। এর আগে তৃণমূলনেত্রী মমতার ব্রিগেড সভায় একমঞ্চেই দেখা গিয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের মতো দেশের হেভিওয়েট নেতাদের। নির্বাচনী চলাকালীনও দফায় দফায় দেশের একাধিক নেতা-নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তাকে সূত্রধরের ভূমিকায় রেখেই মহাজোটের কাণ্ডারীদের এক সুতোয় বাঁধতে উদ্যোগী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। চন্দ্রবাবুও গত কয়েক দিনে দেখা করেছেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার থেকে শুরু করে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে। দিল্লিতে গিয়ে কথা বলেছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও। লক্ষ্ণৌতে গিয়ে দেখা করেছেন মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। এনডিএ সরকারকে ঠেকাতে এবং মহাজোটের স্বার্থে তিনি তার ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহীসহ বার্তাও দিয়েছেন। এ বার তার বৈঠক মমতা সঙ্গে!
তবে সমীক্ষার ফলাফল দেখার পর চন্দ্রবাবুর এই ‘উদ্যোগ’কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক দল শিবসেনা। সেনার মুখপত্র সামনা’য় দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে লিখেছেন, ‘অকারণে নিজেকে কাহিল করছেনকন চন্দ্রবাবু? আশা করি, আগামী ২৩মে পর্যন্ত তার এই উৎসাহ বজায় থাকবে! আমাদের শুভেচ্ছা রইল।’
তবে এরই মধ্যে নিরাশার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার দিল্লিতে বৈঠক হওয়ার কথা কংগ্রেসের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতীর মধ্যে। কিন্তু সেই বৈঠকে মায়াবতী যাচ্ছেন না বলে ভারতের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে। বিএসপি নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র বলেন, দিল্লিতে মায়াবতীর কোনো অনুষ্ঠান বা মিটিংয়ের কর্মসূচি নেই। তিনি লক্ষ্ণৌতেই থাকবেন। সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল মায়াবতীর। কেন তিনি তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে এটা ধরে নেয়া যায় যে, বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি ভূমিধস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে বিরোধীদের সব চেষ্টা জলে যাবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর