নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমাবেশ শেষে জেলা শহরের পৌর বাজার থেকে মাইজদী বাজার পর্যন্ত শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সুধারাম থানায় ছাত্রলীগ যুবলীগের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মী সমাবেশ শেষে জেলা শহরে ভাঙচুরের ঘটনায় বি.আর.টি.সির দোতলা বাসের ড্রাইভার কামাল হোসেন, নোয়াখালী পৌরসভার পিকআপ ড্রাইভার ইকবাল হোসেন, বাঁধন পরিবহনের মালিক আবদুর রাজ্জাক, সুগন্ধা বাস ড্রাইভার দিলদার মিয়া বাদী হয়ে ৪টি মামলায় ৬ শতাধিক গোলযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে। ভিকটিমরা অভিযোগ করেছেন যে, গত ১২ই মে বিকাল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃণমূল কর্মিসভা শেষে ৬ শতাধিক নেতাকর্মী হঠাৎ শহরের বকশি মিঝি পুল থেকে সুধারাম থানা পর্যন্ত ১ কি. মি. এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর করে এতে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়। এ সময় রণক্ষেত্রকারীরা ৩৫ যাত্রীকে জখম করে নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় চালক সুমন (৩০), হেলপার মাসুদকে ভাঙচুরের গ্লাস দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সুগন্ধার মালিক দিদার মিয়া অভিযোগ করেন, ড্রাইভার সোহেল, হোরন, কন্ট্রাক্টর কাদের, মুন্না। দুষ্কৃতিকারীরা অস্ত্রশস্ত্র, কিরিচ, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ইটপাটকেল সজ্জিত হইয়া গাড়ি ভাঙচুরসহ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে জানান, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবু সাঈদ ও রিপনকে ৪ মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।