ওয়ানডেতে টানা ১০ ম্যাচে হার দেখলো পাকিস্তান। রোববার হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩৫২ রানের টার্গেটে ৫৪ রানে হার দেখে সফরকারীরা। এতে ইংলিশরা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নেয় ৪-০তে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হয়। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছিল পাকিস্তান। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এবার ইংল্যান্ডের কাছে হারলো টানা চার ম্যাচ। রোববার ম্যাচ শেষে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এই ফল হতাশাজনক।
কিন্তু ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। ব্যাটিং নিয়ে আমরা ইতিবাচক। কিন্তু বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে।’ ২০১৮-১৯ সালে মোট ২৪ ম্যাচে জয় পেলো ইংলিশরা। বিশ্বকাপের আগে দলের এমন পারফরমেন্সে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল নিয়ে মধুর সমস্যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান বলেন, ‘সবাই দুর্দান্ত পারফর্ম করছে, যা নিয়ে আমি গর্বিত। দলের পারফরমেন্সের এমন উন্নতিতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল নির্বাচনে আমাদের বেশ সমস্যা হবে।’ এদিন বল হাতে জ্বলে ওঠেন ক্রিস ওকস। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট ম্যাচসেরা এ ইংলিশ পেসার। সিরিজ সেরার পুরস্কার পান জেসন রয়।
হেডিংলেতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান তোলে ইংলিশরা। জো রুট (৮৪) ও অধিনায়াক মরগ্যান (৭৪) হাফসেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও দুই ওপেনার ভিন্স ও বেয়ারেস্টো যথাক্রমে ৩৩ ও ৩২ রান করে আউট হন। বাটলার ৩৪, স্টোকস ২১, টম কারান অপরাজিত ২৯ রান করেন। এদিন বল হাতে দুর্দান্ত ছিল শাহিন আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিম। শাহিন আফ্রিদির শিকার ৪ উইকেট। আর তিন উইকেট শিকার ইমাদের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান আলি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ২৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। পরে অবশ্য উইকেটের লাগাম ধরেন বাবর আজম ও সরফরাজ। ব্যক্তিগত ৮০ রানে সাজঘরে ফেরেন বাবর। আর সেঞ্চুরির থেকে তিন রান পিছিয়ে থেকে সাজঘরে ফেরেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৯৭)।