× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১০ গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো

অনলাইন

মো. সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে
(৪ বছর আগে) মে ২১, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া এলাকার মোল্লা বাড়ির কোল ঘেঁসে বয়ে গেছে কাটাখালী খাল। এই খালের উপর নেই কোন ব্রীজ। একটি বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা এ খালের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকার হাজারও শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।

জানাযায়, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে উত্তর আমড়াগাছিয়া, ময়দা, শ্রীনগর, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া, ছৈলাবুনিয়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের লোকজন। এছাড়া উত্তর আমড়াগাছিয়া, পূর্ব আমড়াগাছিয়া, আমড়াগাছিয়া, হুজুর বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছৈলা বুনিয়া জুনিয়র বিদ্যালয় ও আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। এই অবস্থায় যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

এদিকে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বারবার একটি পাকা ব্রীজের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তার কোন বাস্তবায়ন নেই।
এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঁশের সাঁকোর বিপদের কথা ভেবে অনেক সময় রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় না। প্রতিবছরই এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করেন।

সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৪০ বছর যাবৎ কোন ব্রীজ না থাকায় নিজেদের প্রয়োজনে এলাকাবাসী কাটখালী খালের ওপর এই সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।

উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মো. মোতাহার সিকদার বলেন, কিছুদিন এই সাঁকো দিয়ে স্কুলের যাওয়ার সময় আমার নাতনি আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। হুজুরবাড়ি গ্রামের মাওলানা  মো.  গোলাম মোস্তফা জানান, বছরের বছর ধরে এতগুলো গ্রামের লোকজন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে, তবুও এখানে একটি ব্রীজে ব্যবস্থা হচ্ছে না। উপজেলার সকল জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে, শুধু আমরাই কারো নজরে পড়ছি না। একটি ব্রীজের অভাবে এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না কৃষকরা। ফলে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হুজুর বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া বলে, এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে খুবই ভয় লাগে। এখানে একটি ব্রীজ হলে আমাদের স্কুলে যেতে সুবিধা হতো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, ব্রীজ না থাকায় ওই এলাকার জনগণের ব্যাপক কষ্ট এবং দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই শীঘ্রই এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, জনগণের কষ্ট লাগবের জন্য ওই খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন জানান, এলাকাটি পরিদর্শন করে কার্যকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর