কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১১) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ষাইটকাহন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই শিশুর মা আমেনা খাতুন বাদী হয়ে দুজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্র্যাতন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১০। ওই রাতেই অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটক দুই কিশোর হচ্ছে, উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে কাওসার (১৪) এবং একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ফেরদৌস(১৬)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের ওই শিশু গত রোববার (১৯মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনের একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে যাচ্ছিল। শিশু কন্যাটি ওই সময় ফেরদৌসের বাড়ির সামনে গিয়ে পৌঁছলে ফেরদৌস এবং কাওসার তাকে উদ্দেশ্য করে বলে ফেরদৌসের মা তোমাকে ডাকছে।
এ কথা বলে ওই শিশুকে ফেরদৌস ও কাওসার তাদের সাথে করে ফেরদৌসের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির একটি হাফবিল্ডিং ঘরে ঢুকিয়ে ভেতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। ওই সময় শিশুটিকে জোরপূর্বক একটি খাটে শুইয়ে ফেরদৌস শিশুটির মুখ চেপে ধরে রাখে এবং কাওসার ওই শিশুটির পায়জামা খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিশুটি তার মুখ থেকে ফেরদৌসের হাত সরিয়ে দিয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে ফেরদৌসের চাচাতো ভাই শাহিনসহ আশপাশের কয়েকজন এগিয়ে আসে। এসময় ফেরদৌস ও কাওসার শিশুটিকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে উভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.মফিজুর রহমান বলেন, ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে দুজনকে অভিযুক্ত করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে আজ মঙলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।