সিলেটের শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেনের অপসারণ দাবি করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া সালিশ ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগ নেতা আজমল আলী নেপুর মিয়ার স্ত্রী হারুন বেগম। তিনি গতকাল সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওসির অপসারণ দাবি করেন। বলেন- ওসি আক্তারের কারণেই সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ এলাকায় দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে এই থানায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। নিরিহ মানুষকে বারবার হয়রানির অভিযোগও উঠেছে। ইদানিং একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত শাহ্?পরাণবাসী। আর এসব মামলার বেশির ভাগই হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে।
সম্প্রতি খাদিমপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আজমল আলী নেপুর মিয়ার সঙ্গে মুরাদপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে রাসনা বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গত ১৬ই মে নেপুর মিয়ার ভাতিজা হিফজুর রহমানের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষ দৌলত মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর সাথে নেপুর মিয়া জড়িত ছিলেন না। তিনি বলেন, শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন কোন ধরনের তদন্ত বা অনুসন্ধান না করেই একই দিন রাতে নেপুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি বলেন, রাসনা বেগমের সঙ্গে মুরাদপুর বাজারের জমির নিয়ে আফসরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমি রাসনাকে দখল করে দেয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও অর্ধেক অংশের মালিক হবেন এমন কথা এলাকায় ব্যাপক প্রচারিত। তাছাড়া- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আফসরের দলীয় ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই তিনি কথায় কথায় গোটা এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেপুর মিয়া ও তার পক্ষের লোকজনকেও তিনি একই পদ্ধতিতে ঘায়েল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সংবাদ সম্মেলনে হারূন বেগম তার স্বামী নেপুর মিয়ার মুক্তি দাবি করেন।