× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দখল-দূষণে একাকার শুভাঢ্যা খাল

বাংলারজমিন

মো. আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জ থেকে
২২ মে ২০১৯, বুধবার

 কেরানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন সরকারের আমলে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত দখলমুক্ত হয়নি। এই খালের এক প্রান্ত বুড়িগঙ্গার সঙ্গে সংযোগ আর অপর প্রান্ত ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ। তবে, ১৯৭৫ সালের পর থেকেই বিভিন্ন সরকারের ক্ষমতাশালী লোকজন শুভাঢ্যা খালের বিভিন্ন জায়গা দখল করে মার্কেট, বাড়ি, দোকানপাট গড়ে তুলেছে। শুভাঢ্যা খাল এখন দখলদারদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় আছে। খালের মধ্যে এলাকাবাসী বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের তলদেশ ভরাট করে ফেলেছে। এখন খালের মধ্যে পানি নেই। এক সময় এই খালের পানি দিয়ে মানুষ গোসল করত এবং সাংসারিক বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যবহার করত। খালে পানি না থাকায় এখন শুভাঢ্যা খাল মৃতপ্রায়।
খালের মধ্যে কুকুর-বিড়াল বিচরণ করে। এক সময় শুভাঢ্যা খালে নৌকাযোগে বিভিন্ন এলাকার লোকজন কালিগঞ্জ বাজার, জিনজিরা বাজার ও ঢাকার শহরের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতো। বর্তমানে শুভাঢ্যা খাল একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এক সময় এই শুভাঢ্যা খালে নৌকা বাইচ হতো। বর্তমানে খালটির অবস্থা মুমূর্ষু। শুভাঢ্যা খালের কালিগঞ্জ এলাকায় সরকারিভাবে জিলা পরিষদ মার্কেট করে কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। এছাড়া খালপাড়ও গোলাম বাজার ও শুভাঢ্যা পি.কে রায় স্কুল এলাকায় বিভিন্ন সরকারের আমলে ক্ষমতাশালী লোকেরা ঘর-বাড়ি একাধিক দোকান ও মার্কেট করে সুবিধা ভোগ করছেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা অপসারণ হলেও বর্তমানে এই খালটি আবারও দখল, দূষণ ও ময়লা আবর্জনা ফেলায় খালটি অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই খলের মধ্যে আছে ৬৮টি অবৈধ স্থাপনা। আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী জানান, ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌকাযোগে কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক জনসেবায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন এই খালটি বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন দখল করে নিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত এই খালটি দখল মুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হোক। কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রমথ রঞ্জন ঘটক জানান, এই কেরানীগঞ্জে শুভাঢ্যা খালের মতো চুনকুটিয়া ও কালিগঞ্জ খাল দখল হইয়া গিয়েছে। আমরা এই খালগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিব। কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ খাল দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ মোতাবেক কেরানীগঞ্জের সকল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খালগুলো উদ্ধার করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এক সময় কেরানীগঞ্জে ৫২টি খাল ছিল এখন অধিকাংশ খালই অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার কিছু কিছু খাল বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এস.এ ও আর.এস রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। আমরা আইনি জটিলতা কেটে সমস্ত বাধা বিপত্তি উপক্ষো করে কেরানীগঞ্জের খালগুলোকে পর্যায়ক্রমে জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমি আশা করি, আগামী ৫ বছরের মধ্যে কেরানীগঞ্জের অনেকগুলো খালই জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী হবে। এর ফলে মানুষ নৌকাযোগে যাতায়াত করতে পারলে তাদের যাতায়েত ও পণ্য পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর