× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হচ্ছেন এমএ রশিদ

বাংলারজমিন

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২২ মে ২০১৯, বুধবার

আগামী ১৮ই জুন অনুষ্ঠিত হবে শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ নৌকা প্রতীকে একাই মাঠে রয়েছেন। বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করছে না ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ছাড় দিয়ে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এমএ রশিদ। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর বন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ ছালাম ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদসহ ৩ জনের নামের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠায় নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এমএ রশিদকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রন করবে না। তিনি বলেন, মানবজমিনকে বলেন, এই নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। যেহেতু দল কোথাও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি, আমিও দলের সেই সিদ্ধান্তই মেনে নিচ্ছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী অংশ গ্রহণের বিষয়টিও তিনি উড়িয়ে দেন এবং আমি কখনোই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছিনা। জাতীয় পার্টি থেকেও বন্দর উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা মহাজোটে রয়েছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ আমাদের ছাড় দিয়েছিল। আমরাও বন্দরে সেটির প্রতি সম্মান দেখিয়ে কোনো প্রার্থী দিচ্ছিনা। গত ৯ই মে বন্দর উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ই জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২১শে মে, যাচাই-বাছাই ২৩শে মে, প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০শে মে এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ৩১শে মে। বন্দর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩২৫ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৬৪ জন। বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪টি এবং ভোটকক্ষ সংখ্যা ৩২৪টি। ইভিএমে অনুষ্ঠিত হওয়া বন্দর উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিন্টু ব্যাপারী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর