কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় তিনজন যুবকের বিরুদ্ধে। ৬ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে গত সোমবার তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে পরিবারের লোকজন আটক করে ওই তিন যুবকে। তবে স্থানীয় মেম্বার রশিদ মিয়ার যোগসাজশে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় গতকাল কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টায় সুমন (২৪) নামের এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে যোগে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে তার দুই বন্ধু ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। সেখানে কিশোরীকে সুমন প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে তার দুই বন্ধু শুভন ও শামীমসহ কিশোরীকে ৬ দিন ঘরে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষককারী সুমন লোহাজুরী ইউনিয়নের দশপাখী গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। শুভনের বাড়ি দশপাখী গ্রামে এবং শামীম পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হযেছে। এবং লোহাজুরী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল রশিদকে আটক করে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।