লোগো ও মাসকট উন্মোচন করার পর ঘণ্টা বেজে গেছে ত্রয়োদশ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের। আগামী ১-১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় হবে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’ হিসেবে পরিচিত এই গেমস। এই গেমসকে সামনে রেখে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হবে ১৫ জুন। ইতিমধ্যে ২৩টি ডিসিপ্লিনের সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। ‘আমরা সব ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি, ১৫ জুন থেকে এসএ গেমসের প্রস্তুতি শুরু করতে’-বলেন তিনি।
অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে নেপালে উন্মোচিত হয়েছে এসএ গেমসের লোগো ও মাস্কট। এর মধ্য দিয়েই গেমসের ডংকা বেজে গেল।
আগে থেকে না জানলেও লোগো উন্মোচনের পর এবার নড়েচড়ে বসেছেন বিওএ’র কর্মকর্তারা। যদিও আগেই তারা প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণ বাবদ ৩৯ কোটি টাকার একটি বাজেট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। অর্থ ছাড়া এখনো হয়নি। তবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির আশ্বাসের ভিত্তিতে গেমসের অনুশীলন শুরু করার সাহস পেয়েছে বিওএ। তাই সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোতে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নেপাল এসএ গেমসে থাকবে ২৭টি ডিসিপ্লিন। এগুলো হলো- আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, সাইক্লিং, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি, কারাতে, খো খো, প্যারাগ্লাইডিং, শুটিং, স্কোয়াশ, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্ডো, টেনিস, ট্রায়াথলন, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশু। তবে প্যারাগ্লাইডিং, স্কোয়াশ ও ট্রায়াথলন বাদে বাকিগুলোতে বাংলাদেশ অংশ নেবে বলে জানা গেছে। এদিকে বিওএ’র আশায় বসে না থেকে আগে থেকেই ব্যক্তিগতভাবে এসএ গেমসের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে বেশ ক’টি ফেডারেশন। এগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস, শুটিং, আরচারি, সুইমিং, ভলিবল ও কাবাডি। মিকুর কথায়, ‘কিছু ডিসিপ্লিনের অনুশীলন আগেই সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের কর্মকর্তারা শুরু করে দিয়েছেন। বিওএ ১৫ জুন থেকে বাকিদেরও অনুশীলন শুরু করার বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতেই আমরা ফেডারেশনগুলোকে অনুশীলনের জন্য চিঠি দিয়েছি। আশাকরি বাজেটের অর্থ খুব শিগগিরই ছাড় পাবো।’