× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তবুও তুষ্ট নন ম্যাকেঞ্জি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ মে ২০১৯, বুধবার

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কন্ডিশন। বৈরী পরিস্থিতিতে স্বাগতিক আইরিশদের সঙ্গে কঠিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চোখ রাঙানিতো ছিলই। সবকিছু জয় করে টুর্নামেন্টের শিরোপা ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বৃষ্টি আইনে টাইগারদের জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৪ ওভারে ২১০ রান। কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা ঘরে তোলে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এর আগে টানা দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে তারা হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আইরিশরা ২৯২ রান করেও দাঁড়াতে পারেনি তামিম-সাকিবদের সামনে। অসাধরণ পারফরম্যান্সে দলের প্রতিটি সদস্যের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।
শুধু ব্যাটিং দক্ষিন আফ্রিকার কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি ছাড়া। তার কাছে মনে হয়েছে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়টি কঠিন ছিল না। কারণ পূর্ণ শক্তি নিয়ে তারা আসেসি। যেমনটা আসবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। শুধু ক্যারিবীয়রাই নয়, প্রতিটি দলই আসবে তাদের সেরা দল নিয়ে। ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘আমরা বেশিদূর চিন্তা করছি না। আমরা জানি, উইন্ডিজরা পূর্ণ শক্তির দল ছিল না। বিশ্বকাপে উইকেট অনেক ভালো থাকবে এবং আমরা আরো নয়টি সেরা দলের বিপক্ষে খেলবো। কিন্তু আমাদের ছেলেদের জন্য দারুণ প্রভাব ফেলবে এটি (ট্রফি জয়)।’
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইসের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই ত্রিদেশীয় সিরিজে লড়াই করেছে উইন্ডিজ। তারপরও যে ক্যারিবীয়দের শক্তি কম ছিল, তা বললে ভুল হবে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে তো দাপটের সঙ্গে জিতেছিল তারা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ দলটিকেই টানা তিন ম্যাচে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেটিও ভীষণ কঠিন এক কন্ডিশনে। মাঠে প্রতিপক্ষ ছড়াও লড়াই করতে হয়েছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টির সঙ্গে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এমন পারফরম্যান্স যে টাইগারদের আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেই সঙ্গে আস্থা ফিরেছে দলের তরুণদের উপরও। এমন ম্যাচ নিয়ে ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে তারা তাদের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়েছে। আমি মনে করি, ছেলেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা দেখিয়েছে। আমার মনে হয়, দলের ভালো প্রস্তুতি এখানেই হয়েছে।’ আয়ারল্যান্ডের ধরাবাহিকতাটা এখন বিশ্বকাপে ধরে রাখার পালা। ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ের আগে টাইগাররা ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে আরো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। সেখানেও পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে বলে মনে করেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দল ভালো করছে, এমনকি যারা খেলায় অবদান রাখছে না তারাও। খেলার সময় তাদের আরো উদ্দীপনা দেখাতে হবে। আমার মনে হয়, এ দিকটাতে আমাদের জোর দিতে হবে, প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতির মাধ্যমে।’ ম্যাকেঞ্জি মুখে না বললেও মনে মনে হয়তো টাইগারদের প্রশংসাই করেছেন। আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনে ব্যাটিংটা যে দারুণ করেছে বাংলাদেশ! প্রতিটি ম্যাচই জিতেছে পরে ব্যাট করতে নেমে। আর দলের জন্য স্বস্তির ব্যাপার ফর্মে না থাকা সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোসাদ্দেকের দারুণ কিছু ইনিংস।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর