আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আজ থেকে। চলবে ২৬শে মে পর্যন্ত। ৫ই জুন ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে প্রথম দিন ২২শে মে বিক্রি করা হবে ৩১শে মে’র টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৩শে মে পাওয়া যাবে ১লা জুনের টিকিট, ২৪শে মে পাওয়া যাবে ২রা জুনের টিকিট, ২৫শে মে পাওয়া যাবে ৩রা জুনের টিকিট এবং ২৬শে মে পাওয়া যাবে ৪ঠা জুনের টিকিট। অন্যদিকে রেলের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯শে মে থেকে। এদিন পাওয়া যাবে ৭ই জুনের টিকিট। ৩০শে মে বিক্রি হবে ৮ই জুনের টিকিট। ৩১শে মে বিক্রি হবে ৯ই জুনের টিকিট।
১লা জুন বিক্রি হবে ১০ই জুনের টিকিট এবং ২রা জুন বিক্রি হবে ১১ই জুনের টিকিট। এবার ঈদে ছয়টি স্পেশাল ট্রেন ছাড়া হবে। এগুলো ২রা থেকে ৪ঠা জুন ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছাড়া হবে। ঈদের পরে ৬ই জুন থেকে ১২ই জুন পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় আসবে ফিরতি ট্রেন। রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে ১২টি বিশেষ ট্রেন যাতায়াত করবে।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার পাঁচটি স্থান থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা টিকিট বিক্রি চলবে। মন্ত্রী বলেন, একজন যাত্রী চারটির বেশি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। তিনি বলেন, যাত্রীরা ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। স্টেশন কাউন্টার থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট অগ্রিম কিনতে পারবেন। অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি না হলে অবিক্রিত টিকিট কাউন্টার থেকে দেয়া হবে। ঈদের ১০ দিন আগে এবং পরের ১০ দিন ট্রেনে ভিআইপিদের জন্য সেলুন সংযোজন করা হবে না। আগামী ৩রা ও ৪ঠা জুন ঢাকা-কলকাতা-ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না বলেও জানান রেলপথমন্ত্রী।
এদিকে ঈদুল ফিতরের পাঁচদিন আগে ৩১শে মে থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে। ছুটি প্রত্যাহারের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম মিলে প্রায় ৪৮টি ট্রেন বিশেষ ট্রিপ হিসেবে পরিচালিত হবে। ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের ৩ দিন আগে থেকে কন্টেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোনো পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। এছাড়া, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।