কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে মোরশেদা বেগম নামের একজন মহিলার গায়ের চামড়া ঝলসে গেছে। তার শরীরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোরশেদা বেগম নতুন ভবনের ৮ম তলা ৮০১ নাম্বার ওয়ার্ডের ৫নং বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। মোরশেদা বেগম উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের পোদ্দার বাড়ির অটোরিকশাচালক মুহাম্মদ শাহ আলমের স্ত্রী। স্বামী মুহাম্মদ শাহ আলম জানান, চলতি মাসের ১৩ই মে আমার স্ত্রী শরীরের চুলকানি সমস্যা নিয়ে উপজেলার সুন্দলপুর বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মাসুম ফকিরের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার তাকে একসঙ্গে ৫টি টরি ট্যাবলেট খাওয়ান। দুইদিন পর তার শরীরের চামড়া উঠতে শুরু করলে ১৬ই মে পুনরায় ওই ডাক্তারের কাছে যায়। এ সময় ডাক্তার মাসুম তাকে ৫টি এভিল ট্যাবলেট খাওয়ালে মোরশেদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে যাওয়া হলে, শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে গ্রাম্য ডাক্তার মাসুদ ফকির মুঠোফোনে বলেন, আমি তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। তবে এক সঙ্গে এত ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে কিছু জানি না। রোগী কোনো পরামর্শ ছাড়া নিজ সিদ্ধান্তে ওযুধ খেয়েছেন। তার এ অবস্থা দেখে আমি উন্নত চিকিৎসা সেবা নেয়ার পরামর্শ দিই। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মুহাম্মদ জালাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রোগী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার মাসুম ফকিরের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।