× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোপনে শেয়ার বিক্রিকারী উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার:
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ঘোষণা না দিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির যেসব উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এই ধরনের উদ্যোক্তাদের চিহ্নিত করে তালিকা বানাবে। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেই তালিকা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠানো হবে। গতকাল ডিএসইতে অনুষ্ঠিত স্টেকহোল্ডারদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও পরিচালক রকিবুর রহমান। এ সময় ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপিত শাকিল রিজভী ও ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডিএসই ছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
রকিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিএসইসি গত ২৯শে এপ্রিল অনেকগুলো সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বিএসইসি উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পৃথকভাবে ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ, অযৌক্তিক বোনাস শেয়ার ঘোষণা বন্ধ, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ব্লক মডিউল তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এখন থেকে ইচ্ছা করলেই উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে শেয়ারবাজারের দুর্বল দিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে বিএসইসি বেসিক জায়গায় সংস্কার করেছে।
ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার চাইতেই পারি। তবে শেয়ারের দর উঠা-নামার জন্য কাউকে দায়ী করা ঠিক হবে না। সারাবিশ্বের শেয়ারবাজারে শেয়ার দর উঠা-নামা করে। সেটা অনেক কারণেই হতে পারে। এক্ষেত্রে বিএসইসিকে দায়ী করা ঠিক হবে না। সূচকের উঠা-নামায় বিএসইসির ভূমিকা থাকে না। তাদের কাজ আইন-কানুন ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখা। শেয়ারের দর ঠিক করে বিনিয়োগকারী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যারা ইতিমধ্যে না জানিয়ে এবং রাজস্ব ফাকি দিয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে এবং যারা এ কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাখা ও আইনি করণীয় নিয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হবে। যারা রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন, সেই রাজস্ব কিভাবে আদায় করা যায় সেই ব্যাপারেও বিএসইসির কাছে আবেদন করা হবে।
উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে অবশ্যই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয় এবং কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বেশ কিছু সময় ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু উদ্যোক্তা স্টক এক্সচেঞ্জকে না জানিয়ে এবং সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে শেয়ার বিক্রি করছে। তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হবে। উদ্যোক্তারা কারণ উল্লেখ করে জানানোর পর স্টক এক্সচেঞ্জ লক খুলে দিলেই তারা শেয়ার বিক্রি করতে পারব। আর এই লক খুলে দেয়ার সিস্টেম স্টক এক্সচেঞ্জ এর কাছে থাকবে। ফলে তারা না জানিয়ে এবং রাজস্ব ফাকি দিয়ে আর শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চার প্রতিষ্ঠানের যৌথ কমিটি: পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এই চারটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে যৌথ কমিটি গঠন করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর