× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিজেপির ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) মে ২৩, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

ভারতে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনডিএ-র  ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে। গতবারের প্রবল মোদি হাওয়ায় পাওয়া ফলকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে এবারের ব্র্যান্ড মোদিকে সামনে রেখে লড়াই করা বিজেপির ফল। বিজেপি এককভাবেই পেতে চলেছে ২৮৩টি আসন। গতবার তারা পেয়েছিল ২৮২টি আসন। আর জোট হিসেবে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনডিএ পেতে চলেছে ৩৪৮টি আসন। এনডিএ-র শরিকরা সবাই ভালো ফল করার দিকে এগিয়ে চলেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, বিরোধীরা প্রবল গেরুয়া ঝড়ে বিপর্যয়ের মুখে। কংগ্রেস গতবারের চেয়ে ৮টি আসন বেশি পেয়ে ৫২টিতে এগিয়ে থাকলেও জোট হিসেবে সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট ইউপিএ-র ৮৮ আসনে আটকে থাকার সম্ভাবনাই প্রবল।
অন্যান্য দলগুলো এগিয়ে রয়েছে ১০৬টি আসনে। তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়বতী বা সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবরা যে মহাজোট গড়ার চেষ্টায় ছিলেন, তাদের নিজেদের রাজ্যেই শোচনীয় ফলের মুখোমুখি হতে হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তরপূর্ব ভারতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির যে লক্ষ্য বিজেপি নিয়েছিল তাতেও তারা সফল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ১৯টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বলে জানা গেছে। যে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী ও অখিলেশের জোটের কাছে বিজেপি উড়ে যাবে বলে বলা হচ্ছিল তাও ভুল প্রমাণ করে বিজেপি ৫০-র বেশি আসনে জয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। জোট পেতে পারে মাত্র ২৫টির মতো আসন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না গড়ার মাশুল যে মায়াবতী ও অখিলেশকে দিতে হচ্ছে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তবে এনডিএ এবং ইউপিএ জোটের বাইরে থাকা বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবারের নির্বাচনে ভালো ফল করতে চলেছে। মাত্র একমাসের বেশি সময় আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যগুলোতে বিজেপি অসম্ভব ভালো ফল করতে চলেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আসামে এনআরসি নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হলেও সেখানে বিজেপি শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ভালো ফলের দিকে এগিয়ে চলেছে।
বিজেপি তথা এনডিএর এই ভূমিধস সাফল্যের সমীকরণ কী? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কারণ একাধিক। প্রথমত, অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করলে গোবলয়ে বিজেপির ভোটবাক্সে ব্যাপক ধসের ইঙ্গিত থাকলেও তা হয়নি। দ্বিতীয়ত, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে নিজেদের আসন ধরে রেখেছে বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলো। গোবলয়ে যে সামান্য সংখ্যক আসন কমেছে, সেই ক্ষতি মেরামত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বিহারের মতো রাজ্যে। দাক্ষিণাত্যে বিজেপি কখনই শক্তিশালী ছিল না। তবু, কর্নাটকে ভালো করতে চলেছে এনডিএ জোট। এই সব কিছুর যোগফলেই বিপর্যয়ের মুখে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। রাজনৈতিক পর্যক্ষেকদের মতে, বিজেপির পেশাদারিত্বের কাছে হেরে গেছে অন্য দলগুলো। তাছাড়া বিজেপি যে পরিমাণ রিসোর্স নিয়োগ করেছিল তা আর কেউ করতে পারেনি। এ সবেরই যোগফল এই ফলাফল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর