× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নজরুল সংগীতের কিংবদন্তির প্রস্থান

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি নজরুল সংগীতশিল্পী ও নজরুল গবেষক, স্বরলিপিকার খালিদ হোসেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মারা যান। খবরটি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ।  মৃত্যুকালে খালিদ হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে তার কিডনির জটিলতা বেড়ে যায়। ফুসফুসেও সমস্যা হচ্ছিল। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। আসিফ জানান, চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রতি মাসেই হাসপাতালে নেয়া হতো খালিদ হোসেনকে।
তখন দুই-তিন দিন তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকতেন। এবারো ৪ঠা মে তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে আর ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত এখানে তিনি মারা যান। হাসপাতাল থেকে রাতে খালিদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে তার নিজ বাসায়। গতকাল ফজর নামাজের পর খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার বাসার পাশে বায়তুল আমান মিনার মসজিদে। এরপর সকাল ১০টায় নজরুল ইনস্টিটিউটে তার মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান নজরুল সংগীতের শিল্পী, তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রী আর শুভানুধ্যায়ীরা। খালিদ হোসেনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে খালিদ হোসেনের মরদেহ নেয়া হয় নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায়। সেখানে রাতে তারাবির নামাজের পর কোর্টপাড়া সদর কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়। খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর। তখন তারা ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। দেশ বিভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় ছিলেন। খালিদ হোসেন নজরুল সংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। দেশে ও বিদেশে রয়েছে তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। তিনি একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এ ছাড়াও পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা। পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশে নজরুল সংগীতের শিক্ষক, গবেষক ও শুদ্ধ স্বরলিপি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারে তার ছয়টি নজরুল সংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। তার একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম ও ১২টি ইসলামী গানের অ্যালবামও রয়েছে। খালিদ হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এবং বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সংগীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতের আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর