× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢালিউড কিং-এর বিশ বছর

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

শাকিব খান। এই নামটার সাথে বড়পর্দার দর্শকরা লম্বা সময় ধরে পরিচিত। ঢালিউডের কিং খ্যাত এই সফল তারকা আর কদিন পরই পূর্ণ করবেন তার অভিনয় ক্যারিয়ারের ২০ বছর। ১৯৯৯ সালে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’ ছবিতে। আফতাব খান টুলু পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে শাকিব অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির নাম ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এ ছবিটি ১৯৯৯ সালের ২৮শে মে মুক্তি পায়। আর সেই হিসেবে আসছে ২৮ শে মে পূর্ণ হতে যাচ্ছে শাকিব খানের অভিনয় জীবনের বিশ বছর।
এই লম্বা সময়ে দর্শকদের টানা ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। লম্বা সময়ের সাফল্যের পেছনে রহস্য কি? উত্তরে শাকিব হেসে বলেন, তেমন কোনো রহস্য নেই। দর্শকরাই আমার মূল শক্তি। তারাই আমাকে শাকিব খান বানিয়েছেন। তাদের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি কয়েকবার। দর্শকদের জন্য এখনো কাজ করে যাচ্ছি। সামনেও তাদের ভালো কাজ উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। এবারের ঈদেও নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ছবি দর্শকদের উপহার দিতে যাচ্ছেন তিনি। এসকে ফিল্মস থেকে আসছে ঈদে আসবে তার নতুন ছবি ‘পাসওয়ার্ড’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মালেক আফসারী। এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে বুবলী অভিনয় করেছেন। শাকিবের আজকের এই অবস্থানে আসতে রাত-দিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ও আফতাব খান টুলুসহ অনেকের কথা তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন। মাসুদ রানা থেকে শাকিব খান এই নামটি দিয়েছিলেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তখনও কেউ জানত না যে এই ছেলেটি শুধু দেশে না দেশের বাইরের মানুষদেরও মন জয় করবেন। বাংলাদেশে শুধু না কলকাতার ইন্ডাস্ট্রিতে শাকিব খান একটি জনপ্রিয় নাম। বলতে গেলে ইন্ডাস্ট্রির এই দুঃসময়ে তিনি একাই লম্বা সময় হাল ধরে রেখেছেন। এখনো শাকিব খানের ছবি মানেই দর্শকদের নিকট নতুন কিছু। শাকিব খান অবশ্য চান তার পাশাপাশি অন্তত আরো পাঁচ-ছয় প্যারালাল নায়ক-নায়িকা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াক। আগের মতো এক তারকার সাথে অন্য তারকার ছবি মুক্তি নিয়ে প্রতিযোগিতা হোক। এতে ছবি নির্মাণও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেশ কাজপাগল নায়ক ছিলেন শাকিব খান। কখনো কোনো কাজকে না করেননি। এমনকি একটি ছবিতে সেকেন্ড হিরো শাকিব খান, তা জেনেও তিনি না করেননি। কারণ তিনি জানতেন পর্দায় অভিনয়ে পারদর্শী হলে নির্মাতা বা দর্শকের নজর তিনি ঠিকই কাড়তে পারবেন। শেষে হয়েছেও তাই। শাকিব অভিনীত সেরা ছবি গুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘আমার স্বপ্ন তুমি’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘সুভা’, ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’, ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’, ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ‘খোদার পরে মা’, ‘লাভ ম্যারেজ’, যৌথ প্রযোজনার ‘শিকারী’, ‘নবাব’সহ বেশকিছু ছবি। শাকিব খানকে নিয়ে অনেক গুণী নির্মাতা ছবি বানিয়েছেন। তাদের অনেকের মতে, ক্যারিয়ারের অর্ধেকের বেশি সময় একজন নায়ক ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছেন যা আমাদের চলচ্চিত্রে সত্যিই একটি দৃষ্টান্ত। শাকিব তার ক্যারিয়ারের স্ট্রাগল সময়টাকে জয় করে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। ওর আশপাশের অনেকেই ঝরে গেলেও শাকিব এখনো নাম্বার ওয়ান। তাই তো তাকে ঢালিউড কিং বলে আখ্যায়িত করা হয়। সামনে আরো বেশকিছু ভালো মানের ছবি দর্শকদের উপহার দেবেন এই তারকা-এমন প্রত্যাশায় করেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর