× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ /রাজধানীতে মশা নিধনে উন্নতি নেই

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

রাজধানীতে মশা নিধন কর্মসূচিতে পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নত হয়নি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে উঠে এসেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকায়ই এবার বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জরিপে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ৩ থেকে ১২ই মার্চ ১০ দিন এই জরিপ চালানো হয়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৭টি ওয়ার্ডের ১০০টি জায়গায় যান জরিপকারীরা। ওই সব এলাকার ৯৯৮টি বাড়ি ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। বাসার মেঝেতে জমানো পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের বালতি, পানির চৌবাচ্চা ও ফুলের টবে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণু ছড়ানো এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এড়াতে মশা নিধনে কর্মসূচি চালানোর জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।

মশা নিধন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, অবনতিও হয়নি। একই রকম আছে।
তবে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে, মশা জন্মের সবচেয়ে ভালো সময় এখন। তাই সিটি করপোরেশনকে মশক নিধনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। জরিপে রাজধানীর উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি বেশি ধরা পড়েছে। প্রতি একশটি প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি মশার লার্ভা বা পিউপা পাওয়া যায় তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। আবার একশ’ বাড়ির মধ্যে পাঁচ বা তার বেশি বাড়িতে লার্ভা বা পিউপা পাওয়া গেলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। জরিপে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের সূচক বা বিআই (ব্রুটাল ইনডেক্স) সবচেয়ে বেশি ৮০ পাওয়া গেছে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে। পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, নারিন্দা লেন, নারিন্দা রোড, শরৎগুপ্ত রোড, বসু বাজার লেন, মুনির হোসেন লেন, শাহ্‌ সাহেব লেন, মেথরপট্টি, গুরুদাস সরকার লেন, করাতিটোলা লেন, স্বামীবাগ লেন নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। মালিবাগ বাজার রোড, মালিবাগ, বকশীবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ নিয়ে গড়া দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পাওয়া গেছে ৭০। বিআই ৪০ পাওয়া গেছে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩০ পাওয়া গেছে ৪ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আর বিআই ২০ পাওয়া গেছে ৬, ৭, ১৪, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৪৩, ৪৭ এবং ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে। অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাতটি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। সর্বোচ্চ ৪০ বিআই পাওয়া গেছে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে; বড় মগবাজার, দিলু রোড, নিউ ইস্কাটন রোড, পশ্চিম মালিবাগ, মধ্য পেয়ারাবাগ ও গ্রিনওয়ে, উত্তর নয়াটোলার কিছু অংশ এই ওয়ার্ডে পড়েছে। বিআই ৩০ পাওয়া গেছে উত্তরের ১, ৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে।

বিআই ২০ পাওয়া গেছে ১৬, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০১৮ সালেও এ ধরনের জরিপ চালিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। তবে এবারের জরিপটি আগের চেয়ে বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ছিল বলে মনে করছেন অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা। র‌্যান্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে। আমরা পাকা, সেমিপাকা বাড়ি এবং নির্মানাধীন বাড়ি থেকে স্যাম্পল নিয়েছি। এরমধ্যে উত্তরের সাতটা জায়গায় ব্রুটো ইনডেক্স হাই (এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাপক)। আর দক্ষিণে ১৫টা জায়গায় এটা বেশি। দক্ষিণের কয়েকটি জায়গায় এটার উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এবার এডিস মশার লার্ভার পাশাপাশি পূর্ণবয়স্ক মশার উপস্থিতিও জরিপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এজন্য দুই সিটি করপোরেশনের ১৯টি ওয়ার্ডে ১৪১টি ‘বিজি সেন্টিনাল ট্র্যাপ-২’ বসানো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর