ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজ, বৃষ্টিতে মহাসড়কে পানি জমে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায়, যত্রতত্র গাড়ি ফেঁসে যাওয়ায় এবং নানা অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ যানজটে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কের এ অংশে ভাঙাচোরায়-গর্তে জমে থাকা পানিতে যানবাহন ফেঁসে যায় যখন তখন। কখনো কখনো যানজটের মাত্রা তীব্র হয়ে যায়। দ্রুত অবস্থার পরিবর্তন করতে না পারলে আসন্ন ঈদে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছেন এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও চালকরা। সড়ক বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তাগণ অবশ্য বলছেন, ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে নানা ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা জানান, মহাসড়কের এই অংশে বিআরটি প্রকল্পের সড়ক ও পাশের ড্রেন নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রতা, ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলায় এবং সড়কের পাশে অবৈধ পার্কিংসহ নানা কারণে যাত্রীরা নাকাল হচ্ছেন। মাত্র বিশ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। কখনো কখনো লেগে যায় কয়েকঘণ্টা। ঈদের আগে মহাসড়কের এই অংশে চার লেন স্বাভাবিক এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করতে না পারলে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা।
গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সাইফউদ্দিন জানান, ঈদে ওই মহাসড়কে ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গর্ত ও ভাঙাচোরা অংশ মেরামত, জমে থাকা পানি নিষ্কাশনসহ তারা নানাভাবে তৎপর রয়েছেন। সড়ক বিভাগের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশ বিভাগের। অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন, মহাসড়কের পাশের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, আনফিট গাড়ি চলাচল বন্ধ করাসহ রয়েছে নানা উদ্যোগ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সড়ক বিভাগের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশ বিভাগের। অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন, মহাসড়কের পাশের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, আনফিট গাড়ি চলাচল বন্ধ করাসহ রয়েছে নানা উদ্যোগ। তিনি আশা করছেন এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তির সাথে ঈদে ঘরমুখো লোকজনকে বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন।