× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জাগঞ্জে ১০ গ্রামবাসীর ভরসা বাঁশের সাঁকো

বাংলারজমিন

মো. সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া এলাকার মোল্লা বাড়ির কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে কাটাখালী খাল। এই খালের ওপর নেই কোনো ব্রিজ। ব্রিজের পরিবর্তে বাঁশের সাঁকোই এখন একমাত্র ভরসা এ খালের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের। খালের ওপর কোনো ব্রিজ না থাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ হাজারো ও পথচারীর। জানা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে  প্রতিদিন উত্তর আমড়াগাছিয়া, ময়দা, শ্রীনগর, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া, ছৈলাবুনিয়াসহ প্রায় ১০ গ্রামের লোকজন এবং উত্তর আমড়াগাছিয়া, পূর্ব আমড়াগাছিয়া, আমড়াগাছিয়া, হুজুর বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছৈলাবুনিয়া জুনিয়র হাইস্কুল ও আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বারবারই একটি পাকা ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাঁশের সাঁকোর বিপদের কথা ভেবে অনেক সময়  রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে না। প্রতিবছরই এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করা হয়।
সরজমিন জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর যাবৎ কোনো ব্রিজ না থাকায় নিজেদের প্রয়োজনে এলাকাবাসী কাটখালী খালের ওপর এই সাঁকোটি নির্মাণ করে।
এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মো. মোতাহার সিকদার বলেন, কিছুদিন এই সাঁকো দিয়ে স্কুলের যাওয়ার সময় আমার নাতনি আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। হুজুরবাড়ি গ্রামের মাওলানা মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বছরের পর বছর ধরে এতগুলো গ্রামের লোকজন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে তবুও এখানে একটি ব্রিজের ব্যবস্থা হচ্ছে না। উপজেলার সব জায়গায় উন্নয়ন হচ্ছে, শুধু আমরাই কারো নজরে পড়ছি না। একটি ব্রিজের অভাবে এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না কৃষকরা। ফলে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হুজুর বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া বলে, এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে খুবই ভয় লাগে। এখানে একটি ব্রিজ হলে আমাদের স্কুলে যেতে ভালো হতো। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, ব্রিজ না থাকায় ওই এলাকার জনগণের ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে এবং দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই শিগগিরই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবুবকর সিদ্দিকী বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য ওই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন জানান, এলাকাটি পরিদর্শন করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর