পিত্তথলিতে জমে থাকা পাথর অপারেশনের জন্য গ্যাসট্রাইটিস ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ইনজেকশন সারভেক পুশ করার কারণে অজ্ঞান গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা (মুন্নির) এখনো জ্ঞান ফেরেনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন মুন্নিকে একাধিক চিকিৎসক চিকিৎসা দিলেও তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। উল্টো অবনতির দিকে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোশারেফ বিশ্বাসের মেয়ে মরিয়ম সুলতানার পিত্তথলিতে জমে থাকা পাথর অপারেশনের জন্য গত ২০শে মে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. তপন কুমারের নির্দেশ মোতাবেক পরদিন মঙ্গলবার সকালে অপারেশনের জন্য মুন্নিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শাহানাজ গ্যাসট্রাইটিস ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ইনজেকশন সারভেক পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যে মুন্নি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্নিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানকার চিকিৎসকরা অবস্থার বেগতিক দেখে মুন্নিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন মুন্নির অবস্থা আগের থেকে আরো অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার তপন ও নার্স শাহানাজের অপসারণসহ বিচারের দাবিতে মুন্নির সহপাঠীরা গতকাল সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. তপন কুমার ও নার্স শাহানাজকে যদি অপসারণ করা না হয় তাহলে হাসপাতালে হামলা ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।