প্রধানমন্ত্রীর কাছে গৃহবধূ বিবি মরিয়মের আর্তি জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ বাবুল বাহিনীর হাত থেকে আমাদের পরিবারকে বাঁচান। গত মঙ্গলবার নোয়াখালীর ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আকুতি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মো. ইব্রাহীম (৫০) এর স্ত্রী ফেন্সি আক্তারের সাথে বাবুল মিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে সিএনজির ভেতর ফেন্সির অবৈধ বাচ্চার জন্ম হয়। ওই ঘটনা সিএনজি চালক হাশেমের মাধ্যমে এলাকায় ফাঁস হয়। পরে আমার স্বামী মনির হোসেন ওই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় একজন প্রবাসী ও ইব্রাহিমের বন্ধু লেয়াকত আলীর কাছে প্রতিবাদ জানায়। পরে ইব্রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে কালামুন্সি বাজারে নিয়ে তাকে দফায় দফায় মারধর সহ নির্যাতন করে। সামাজিক লোকজন আসামি ইব্রাহিম, বাবুল মিয়া সহ তাদের ৪ ভাইকে সমাজচ্যুত করে এবং ইব্রাহিমের স্ত্রী ফেন্সিকে ওই এলাকায় ঢোকার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আসামি ইব্রাহিম সহ তাহার ৪ ভাইকে রহস্যজনক কারণে পুনরায় সমাজে পুনর্বাসন করে। পরবর্তীতে ইব্রাহিম বিদেশ চলে যায়। ২য় দফায় আসামি ইব্রাহিম বিদেশ থেকে দেশে এসে তার নিষিদ্ধ স্ত্রী ফেন্সিকে তার এলাকায় আনতে গেলে সমাজের লোকজন বাধা দেয়। এতে আমার মামলার এজাহার নামীয় আসামীগণ স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধের জন্য সুযোগের সন্ধানে থাকে। গত ২৫শে এপ্রিল ফের আসামি ইব্রাহিম, বাবুলসহ বেশ কয়েক সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন আমাকে কবিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করে। ওই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি। ওইদিন আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আসামিগণ আমার বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে। এ বিষয়ে এজাহার দিলে গত ২৬শে এপ্রিল তদন্তপূর্বক ওসি মির্জা হাসান মামলা রুজু করলেও দীর্ঘ ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামিকে আইও গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি-ধমক দিয়ে বলে যে, আমি আমার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে না করলে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করবে।