সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে আবদুল আমান গ্রুপের নির্মাণাধীন ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বেলা ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে মেঘনা নদীতে চতুর্থ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আমান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আমান ইকোনমিক জোনের নির্মাণাধীন ওই শিল্প কারখানার নামে নদী দখল করে ১শ ফুট প্রশস্ত ও ছয় হাজার বর্গফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখলমুক্ত করতে ভেকো দিয়ে খননকাজ শুরু করা হয়।
একই সঙ্গে নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ বালু নিলামে তুলে ৯৬ লাখ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এর পাশাপাশি নদীর তীরে আমান গ্রুপের বাঁশের বেড়ার সীমানাও ভেঙে ফেলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। নদী ভরাট ও দখলের অভিযোগে আমান গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাদিরুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) রবিউল হককে আটক করেন বিআইডব্লিউটিএ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ সহ টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তারা। বিআইডব্লিউটিএ এর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক জানান, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আদেশ ভঙ্গ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণসহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে।
তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।