একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আসামিরা হলেন- আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন। একইসঙ্গে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা এবং বাকি এক লাখ টাকা জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতিতে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তা আদালতকে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে আসামী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল পারভেজ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মতিঝিল সিটি সেন্টারের আমেনা এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড কর্পোরেশনে তারা বসে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় টাকা প্রেরণের সময় র?্যাব-৩ গত বছরের ২৪শে ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করে নগদে ৮,১৫,৩৮,৬৫০/ টাকা উদ্ধার সহ ১০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার ২৩ টি চেক উদ্ধার করে।
সেখান থেকে হাতে নাথে আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়। চলতি বছরের ৫ই মে হাইকোর্ট জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী তানিয়া শারমীন তাদের জামিনের জন্য হলফমূলে আবেদন করেন। আইনজীবী ছিলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। সেই আবেদনটি ৭ই মে না- মঞ্জুর হয়। ওই আবেদনের না -মঞ্জুর আদেশকে গোপন করে পুনরায় তারা বিচারিক আদালতের একই আদেশ নামা দিয়ে অর্থাৎ এ বছরের ৩রা এপ্রিলের আদেশ দিয়ে পুনরায় একই আদালতে জামিন আবেদন করেন।
এবার আদালতে হলফ করেন মো. জাকির হোসেন মিন্টু, আর আইনজীবী ছিলেন কামাল পারভেজ। এ ধরনের তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন হাইকোর্টের নিয়মে নেই। নতুন আবেদনে আইনজীবী জানান, এর পূর্বে বিচারিক আদালেেতর এই আদেশ দিয়ে পূর্বে জামিন আবেদন করা হয়নি।