× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিখোঁজের ১০ দিন পর মিললো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

রাজধানীর শ্যামলী থেকে নিখোঁজের ১০ দিন পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সকালে গাজীপুরের গাছা থানাধীন কামারজুরি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে এই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১২ই মে রাজধানীর শ্যামলী থেকে মোটরসাইকেলে গাজীপুরে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন জিসান। ঘটনার পরদিন গাজীপুরের গাছা থানা এবং চারদিন পরে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইসমাইলের বাবা সাব্বির হোসেন শহীদ।
পুলিশের ধারণা, মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ‘উবার’র অফলাইনে (অ্যাপসের পরিবর্তে চুক্তিভিত্তিক) শ্যামলী থেকে গাজীপুরে ভাড়ায় যায় জিসান। পরে মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করার জন্য তাকে শ্বাসরোধে খুন করে গাজীপুরের ওই সেফটিক ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত জিসান গাজীপুর জেলার গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। রাজধানীর ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
তার মা ভাতের হোটেলের দোকান দিয়ে সংসার চালান। আর্থিক অনটনের ফলে তিনি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবার চালিয়ে পড়ালেখার খরচ চালাতেন। রাজধানীর শ্যামলীর ২ নম্বর রোডের ১৬/ডি বাসায় এক বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন তিনি।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, নিখোঁজের দিন অফলাইনে শ্যামলী থেকে গাজীপুরে যান জিসান। এরপর থেকে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবকের সম্পৃক্ততা রয়েছে। পরে গত বুধবার রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্ততার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই হাসিবুলকে নিয়ে গাজীপুরে অভিযানে যায় পুলিশের একটি টিম। কিন্তু রাতে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় জিসানের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কামারজুড়ি এলাকার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিসানের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটিও হাসিবুলের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরো বলেন, হাসিবুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, উবারের মাধ্যমে অফলাইনে গাজীপুরে ভাড়ায় যায় জিসান। সেখানে তার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ঘটনার সঙ্গে আরো একজনের জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে জিসান। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর