× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জমে উঠেছে ঈদ বাজার

শেষের পাতা

মরিয়ম চম্পা
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটগুলো। অধিকাংশ মার্কেটে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে বিকিকিনি। প্রতিটি মার্কেটে তরুণীদের ভিড় একটু বেশি। রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ও বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, এবারও ঈদের পোশাকে ভারতীয় চলচ্চিত্র ভিত্তিক পোশাকের আধিপত্য চলছে। অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে দেশী পোশাকের তুলনায় বিদেশী পোশাকের দিকেই ক্রেতাদের মনোযোগ বেশি। এবার ঈদের বাজারে এসেছে হিন্দী চলচ্চিত্রের নামে একাধিক পোশাক। জরি, পুঁতিতে জড়ানো পাতলা চিকচিকে জমকালো টিস্যু কাপড়ের দুপাশে ঝুলানো জামাটিতে রয়েছে একটি বাড়তি কটি। ওড়নার সঙ্গে মিল করে জরির কাজ করা সালোয়ার।
পোশাকটির নাম ‘টিস্যু গ্রাউন’। কথা হয় ইস্টার্ন মল্লিকাতে শপিংএ আশা ছোট্ট রাফার সঙ্গে। আদো আদো কণ্ঠে রাফা জানায়, মায়ের সঙ্গে শপিং করতে এসেছে সে। জামা কিনবে। দোকানিরা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে ছোট সোনামণিদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ‘টিস্যু গ্রাউন’।

দাম ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসময় রাফার মা বলেন, রাফার বয়স মাত্র সাত বছর। কিন্তু বয়সের তুলনায় সে খুবই পরিপক্ক। তাই আমার পছন্দের ওপর ভরসা না করে সে নিজেই আমার সাথে মার্কেটে এসেছে। সরজমিনে দেখা যায়, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্স সর্বত্রই ঈদের কেনাকাটার ধুম লেগেছে। নিউমার্কেটের নুরজাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন বলেন, এবছর শিশুদের পোশাকের চাহিদাটা একটু বেশি। তাছাড়া পহেলা রমজান থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আশা করছি, চাঁদ রাত পর্যন্ত ভালো বেচাবিক্রি হবে। মারিয়া ফ্যাশন হাউজের কর্ণধার মো. কামাল বলেন, মেয়েদের পোশাকে এবার নতুন চমক নিয়ে এসেছে ‘গারারা’। ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। তবে কেনাকাটা এখনো খুব একটা জমেনি। ‘গারারা’ নামের পোশাকটি দৃষ্টি কাড়ছে তরুণীদের। টিস্যু গ্রাউন ছাড়াও ‘গারারা’ নামের ভারতীয় ঢংয়ের ড্রেস রয়েছে। কাতান কাপড়ের ওপরের তৈরি করা জামাটার ওপরের পার্ট কামিজ-যা ঝুলে ছোট। সালোয়ার ঢোলা যার হাঁটুর দিকে ঘোরানো জরি চুমকির কাজ করা। ওড়নায়ও ভারী কাজ। এ পোশাকটি এবারের ঈদে ছোটদের পছন্দের পোশাক। ১ বছর থেকে ১২ বছর বয়সের বাচ্চাদের এই পোশাকটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়।

এছাড়া ছেলে শিশুদের জন্য মার্কের্টে এসেছে ‘ডিজে সেট’। এসব পোশাকে ডিজাইন ও কাট ছাঁটের পাশাপাশি নামেও রয়েছে ভিন্নতা। পোশাকটির প্যান্টের পকেট ও শার্টের পকেটে লাইট ও মিউজিক বসানো। এগুলো সাইজের ওপর নির্ভর করে দাম ১২শ থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে মোদি সেট, বাবাসেট পাঞ্জাবি-পায়জামা-কটি, শার্ট-প্যান্ট, কুরতা, ফতুয়া ও গেঞ্জি সেট। রয়েছে নবজাতক থেকে শুরু করে ১৬ বছর পর্যন্ত বয়সী বাচ্চাদের পোশাক। মেয়ে শিশুদের জন্য গাউন, গারারা, রাজ-থ্রি, বাহুবলি-২ বেবি স্টাইল টপস, পার্টি ফ্রক, গ্রাউন থ্রিপিস, লং-ফ্রক, লং-কামিজ, ঘাগড়াচোলি, টিউনিক ক্যাপি, ডিভাইডার, লেগিন্স।

মেয়ে ও ছেলে বউকে নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা মদিনা বেগম। তিনি জানান, নাতনীর জন্য গারারা আর নাতীর জন্য ম্যাজিক সেট কিনেছি। তবে পোশাকের দামটা একটু বেশি। ছোটদেরটা শেষ করে বড়দের শপিং শুরু করবো। ২৮শে রমজান পর্যন্ত আমাদের শপিং চলবে। বিক্রেতা নয়ন বলেন, এ বছর মেয়ে শিশুরা ফ্রক ও ফ্লোরটাচ এবং ছেলে শিশুরা শার্ট-প্যান্ট ও পাঞ্জাবি বেশি কিনছে। একদম ছোট মেয়ে বাচ্চাদের জন্য চলছে পার্টি ফ্রক। একটু বড় মেয়েরা নিচ্ছে গাউন ও ফ্লোর টাচ।
ক্রেতা সাহিন জামান জানান, আমার মেয়ে ছোট হলেও বড়দের মতোনই ফ্যাশন সচেতন। তার আবদার বড় আপুদের মতো জামা কিনে দিতে হবে। তাই মেয়ের জন্য ফ্লোর টাচ জামা কিনেছি। গাউছিয়া মার্কেটের ‘জরী ঘরে’ সোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক। এরমধ্যে গারারার প্রভাবটা একটু বেশি। দোকানে বিক্রেতা মো. আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভারতীয় পোশাক ‘গারারা’ ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পোশাকগুলো ভারত থেকে আনা হয়েছে। দাম ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। আশা করছি খুব শিঘ্রই আরো বিক্রি বাড়বে।

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মোক্তার জানান, গারারা মূলত থ্রিপিসের মতোই এক ধরনের পোশাক। এর কামিজগুলো সাধারণত খাটো ঝুলের হয়ে থাকে এবং সালোয়ার বা পায়জামা হয় পালাজ্জো ধরনের। গারারার ক্ষেত্রে কামিজের চেয়ে সালোয়ারের ডিজাইনে বৈচিত্র্যময়তা বেশি। নকশা আর কাপড়ভেদে এর দাম হয়ে থাকে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া এবারের ঈদে মেয়েদের ওয়ান পিস কামিজ, কুর্তি, টিউনিক ও টপসেরও বেশ চাহিদা। গ্রীষ্মকালকে মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের পোশাকে নকশার পাশাপাশি পরায় আরামের বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। হাফ হাতা, থ্রি-কোয়ার্টার হাতা ও মাইক হাতার টিউনিক ও টপসগুলো পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। সিঙ্গেল ও ডাবল পার্টের কুর্তির পাশাপাশি লম্বা ঝুলের কুর্তিও বিক্রি হচ্ছে বেশ। দেড় থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের কুর্তি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর