× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মমতার দুর্গেও বিজেপির হানা

প্রথম পাতা

পরিতোষ পাল, কলকাতা থেকে
২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার

পশ্চিমবঙ্গে উল্কার গতিতে বিজেপির উত্থান হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিয়ে বিজেপি ১৮টি আসন দখল করতে চলেছে। গতবার বিজেপি মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল । ভোটের হারের নিরিখেও বিজেপির উত্থান সকলের কাছে ঈর্ষণীয়। গতবার বিজেপির ভোটের হার ছিল কয়েক শতাংশ মাত্র। সেখানে এবার বিজেপির ভোটের হার ৪০ শতাংশকে ছুঁয়ে ফেলেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই উত্থান অভূতপূর্ব। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়া চন্দন মিত্র বিজেপির সাফল্যকে স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, অবিশ্বাস্য জয়।
রাজ্যে বিজেপির জয়ের গতিপ্রকৃতিতে নির্বাচন শেষে ঘোষিত বুথফেরত সমীক্ষাই প্রায় সঠিক বলে পরিগণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন পেতে চলেছে।

গতবার তারা পেয়েছিল ৩৪টি আসন।  তবে ভোটের হার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে খানিকটা স্বস্তিতে রেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেতে চলেছে ১৮টি আসন। কংগ্রেস ২টি আসনে জয় নিশ্চিত করেছে। তবে বামরা একসময়ের দুর্গ থেকে ধুয়ে মুছে গিয়েছে। ২০০৯ সালেও বামরা ৪৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। সেখানে তারা এবার পেয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ ভোট। ভোট ফল প্রকাশ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বিজেপির একের পর এক নেতা বলেছেন, শান্তি এবং নিরাপত্তার লক্ষ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলার মানুষ। আর ভোট গণনা চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  টুইটারে বলেছেন, জয়ীদের অভিনন্দন। কিন্তু যারা হেরেছেন, তারা সবাই হারেন নি।

এদিকে কলকাতার ভোটের ফলাফল বিজেপিকে হতাশ করেছে। উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা দ্বিতীয়বারের মতো পরাজিত হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গতবারের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায় রেকর্ড ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু অভিযোগ করেছেন, ভোট যা পড়েছে তার চেয়ে বেশি ভোট গণনায় পাওয়া গিয়েছে।

যাদবপুর কেন্দ্রে সিপিআইএমের বিকাশ ভট্টাচার্য জোর লড়াই দিয়েছেন বলা হলেও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ফল গণনার পরে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী নুসরাত জাহানও বিপুল ভোটে জয়ী হতে চলেছেন। তৃণমূলের অভিনেতা প্রার্থী দেবও জয়ী হতে চলেছেন। তবে সুচিত্রা কন্যা মুনমুন সেন পরাজিত হয়েছেন বিজেপির গায়ক বাবুল সুপ্রিয়’র কাছে। বিজেপির অভিনেত্রী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও জয়ী হয়েছেন। বিজেপির উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণ বঙ্গে জয় স্পষ্ট করে দিয়েছে গত কয়েক বছরে বিজেপি কত দ্রুত সংগঠিত হয়েছে। রাজ্যে শাসক দলের পালটা শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিজেপি জোরদার হয়ে উঠেছে। আর তাই বামরাও বিজেপিতেই ভরসা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর