× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয় পাচ্ছেন মুসলিমদের ওপর বোমা হামলায় অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) মে ২৪, ২০১৯, শুক্রবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

ভারতের রাজনীতিতে বহুল বিতর্কিত নাম প্রজ্ঞা ঠাকুর। ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ে মুসলিমরা যখন ইফতার করছিলেন তখন সেখানে বোমা হামলা হয়। এ হামলায় তিনি অভিযুক্ত। হামলায় কমপক্ষে ১০ জন মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসে তার ভূমিকা আছে। তিনি ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর খুনি নাথুরাম গডসেকে শেষ পর্যন্ত ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যায়িত করে তোলপাড় করে দেন এ মাসে। নিজ দল বিজেপির ভিতরে এ জন্য কড়া ভর্ৎসনা শুনতে হয় তাকে। তার এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রজ্ঞাকে তিনি ক্ষমা করতে পারবেন না কোনোদিন। ওই মন্তব্যের জন্য প্রজ্ঞাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য বিজেপির প্রতি অনুরোধ জানান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী। সেই প্রজ্ঞা ঠাকুরই এবার ভুপাল থেকে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হচ্ছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রথম সদস্য হিসেবে তিনিই প্রথম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে জানাচ্ছে, ভারতের নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ডাটা বলছে, প্রজ্ঞা তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী ও মধ্যপ্রদেশের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দিগি¦জয় সিংয়ের চেয়ে শতকরা ৬৯ ভাগ বেশি ভোট পেয়েছেন। তবে সেখানকার চূড়ান্ত ভোটের ফল শুক্রবার দিনশেষে জানা যেতে পারে বলে বলা হচ্ছে। তবে দুটি টিভি স্টেশন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। স্যাফ্রন পোশাকে আবৃত প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেছেন, এটা হবে ধর্মের বিজয়।
প্রজ্ঞা ঠাকুরের বয়স ৪৯ বছর। তাকে কট্টর জাতীয়বাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি নারী অধিকার কর্মী। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক তিনি সৃষ্টি করেন নির্বাচন চলাকালে এ মাসে। তখনই তিনি নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করেন। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে যে দাঙ্গা হয় তাতে তার বড় ভূমিকা ছিল। ওই দাঙ্গায় ভারতে কমপক্ষে ২০০০ মানুষ নিহত হন। তার বিরুদ্ধে এত সব ভয়াবহ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন বিজেপি তাকে বেছে নিয়েছে, এ বিষয়ে কথা বলেছে দলটি। বিজেপি বলেছে, প্রজ্ঞা ঠাকুরকে নির্বাচনী টিকেট দেয়া হয়েছে এ জন্য যে, তিনি যেন সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ দিতে পারেন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবই বানোয়াট।

অনেক ভোটার বলেছেন, তারা নির্বাচনে প্রজ্ঞাকে ভোট দিয়েছেন শুধু মোদিকে আরেক দফা প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাওয়ার জন্য। একটি ব্যস্ত সড়কের পাশে লেবুর শরবত বিক্রি করেন ওসামা খালিদ। তিনি বলেন, মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছে, তাই প্রজ্ঞা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তা ছাড়া কেউ তার অতোটা জানেও না। আমি ভোট দিয়েছি কংগ্রেসকে। কারণ, প্রজ্ঞা ঠাকুর সম্পর্কে আমি যা কিছু জেনেছি, তার সবই জঘন্য। তিনি জেল খেটেছেন। নির্বাচনের ফল প্রজ্ঞা ঠাকুরকে নিয়ে যাচ্ছে প্রথিতযশাদের কাতারে, যারা নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আর তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিষয়ে ক্রমশই হয়ে উঠছেন অসহিষ্ণু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর