× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উত্তর পূর্ব ভারতেও বিজেপির সাফল্য

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) মে ২৪, ২০১৯, শুক্রবার, ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

দাক্ষিণাত্য বাদে সারাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতেও গেরুয়া ঝড় বয়ে গিয়েছে। অথচ এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির অনেক কটিতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রবল বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল গত এক বছরে। তবে সে সব ক্ষোভের আঁচকে সামাল দিয়ে বিজেপি আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর বা ত্রিপুরার মতো রাজ্যে বিজয়-রথ ছুটিয়েছে সফলতার সঙ্গে।  নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল আসাম। তবে আসাম-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের লড়াইতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা ক্যাবকেই হাতিয়ার করেছিল শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। পর্যবেক্ষকদের মতে, কিন্তু সেই ক্যাবের মাধ্যমেই কিস্তিমাত করেছে গেরুয়া শিবির।  উত্তরপূর্ব ভারতের ৮টি রাজ্যে মোট লোকসভার আসন সংখ্যা ২৫। এই ২৫টি মধ্যে ১৮-২১ আসন জেতার লক্ষ্যে বিজেপি সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। গতবার এই রাজ্যগুলি থেকে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পাশাপাশি উত্তর পূর্ব ভারতেও নজর ছিল মোদী-শাহ জুটির।  অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলেও বিজেপি আসন সংখ্যা দ্বিগুন করেছে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে আসাম থেকে সাতটি আসন জিতেছিল বিজেপি। এত করেও বরাক উপত্যকায় সাফল্য পায় নি। এবার সেই আফসোস মিটিয়ে ফেলেছে বিজেপি। আগের জয়ী ৭টি আসন ধরে রাখার পাশাপাশি  বরাক উপত্যকার দুই কেন্দ্র শিলচর ও করিমগঞ্জেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। করিমগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্র। অন্যদিকে শিলচর বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত কেন্দ্র। এই শিলচরেই বাঙালি আবেগকে উসকে দিতে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সক্রিয় ছিলেন । কিন্তু সেখানকার বাঙালি মনে বিন্দুমাত্রও দাগ কাটতে পারেনি তার দল।

আসামে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা  রাহুল গান্ধী বারবারই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল  বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না-হলেও, বিজেপির রথ আটকাতে বদরুদ্দিন আজমলের এআইইউডিএফ মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, বিজেপি বিরোধী ভোটকে এককাট্টা করা। এমনকী, আসামে যে শরিকের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি, নাগরিকত্ব বিল  ইস্যুতে সেই আসাম গণ পরিষদের মধ্যেও ফাটল ধরেছে। তাতেও অবশ্য বিজেপির জয়রথ আটকানো যায়নি। আসামে প্রচারে এসে বারবার নরমে-গরমে সুকৌশলে নাগরিকত্ব বিলকেই  হাতিয়ার করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। যে সব জায়গায় সংখ্যালঘু বা আদি অসমিয়ারা সংখ্যাগুরু সেখানে তুলনায় নরম সুরে মোদী বলেছেন, আসামের আদি বাসিন্দাদের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে বিল পাস করানো হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিশেষ করে হিন্দু বাঙালিদের ভোট যেখানে ফ্যাক্টর, বরাক উপত্যকার সেই করিমগঞ্জ ও শিলচরে মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার। বরাক উপত্যকার হিন্দু বাঙালি ভোটারদের মন পেতে ধরি-মাছ-না-ছুঁই-পানি নীতি অনুসরণ করতে গিয়েই বিপাকে  পড়েছে কংগ্রেস। শিলচরে প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব দুই বার দেশের সেরা সাংসদ নির্বাচিত হয়েও ভোট বৈতরণী পার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আসামের নয়'টি আসনের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশে দুইটি, ত্রিপুরায় দুইটি এবং মণিপুরে একটি আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে।  আর নাগাল্যান্ডেও বিজেপির সঙ্গী এনডিপিপি জয়ী হয়েছে। তবে সিকিমে ২৫ পছর ধরে রেকর্ড মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এবার পরাজয় স্বীকার করে বিদায় নিতে হয়েছে পবন চামলিংকে। সেখানকার ৩২ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচনে চামণিংয়ের দল সুকম ডেমোক্রাটিক পার্টি পেয়েছে মাত্র ১৫ টি আসন। অন্যদিকে সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা পেয়েছে ১৭টি আসন। তারাই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। সিকিমের একমাত্র লোকসভা আসনটি পেয়েছে ক্রান্তিকারি মোর্চা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর